Skip to main content

এনটিআরসিএ থাকছে না, আসছে কমিশন

শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়নের উদ্দেশ্যে ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ বা এনটিআরসিএ গঠিত হয়। কিন্তু শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতা আনতে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগে প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব এনটিআরসিএকে দেয়া হয়। এর আগে শিক্ষক নিয়োগের একচ্ছত্র ক্ষমতা ছিলো ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির হাতে। এখন এনটিআরসিএর সুপারিশ করা প্রার্থী ছাড়া শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ নেই। এনটিআরসিএর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের আর কোনও পরীক্ষা দিতে হয় না।
নতুন বিধান অনুযায়ী ২০১৬ ও ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে দুই দফায় শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল পর্যায়ের শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতা আনতে সম্প্রতি একটি শিক্ষক নিয়োগ কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ কমিশন বা এনটিএসসি নামের এ কমিশন গঠন করা হবে। এ কমিশন গঠিত হবার পর শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রার্থী বাছাই এর পর নিয়োগের জন্য সুপারিশ করার দায়িত্ব আর এনটিআরসিএর হাতে থাকবে না। কমিশন সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ সকল পর্যায়ের শিক্ষক নিয়োগ দেবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। 
সূত্র জানায়, বুধবার (২১ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় শিক্ষক নিয়োগ কমিশন ও এনটিএসসি গঠনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জানা গেছে, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) আদলে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সব পদে শিক্ষক নিয়োগ দিতে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ করবে এ কমিশন। সভায় কমিশন গঠনে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী মাস অর্থাৎ সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতেই এ কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করা হবে। এ কর্মপরিকল্পনার প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদারাসা শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা আলোচনা করে এ বিষয় পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবেন। তবে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত দপ্তর-অধিদপ্তরগুলোর কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এ বিষয়ে মতামত বা পরামর্শ নেয়া হবে। 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সভায় উপস্থিত একজন কর্মকর্তা ‘এনটিএসসি’ গঠনের বিষয়টি দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, পিএসসি বা সরকারি কর্ম কমিশনের আদলে শিক্ষক নিয়োগ কমিশন গঠন করার বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধা্ন্ত হয়েছে। এ কমিশনের সর্বোচ্চ পদটি সাংবিধানিক পদ হবে। তবে এ বিষয়ে আরও কয়েক দফা আলোচনা করা হবে। তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও জানান, এনটিআরসিএর থেকে শক্তিশালী করে এনটিএসসি গঠিত হচ্ছে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কর্মপরিকল্পনা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আগামী মাসের শুরুতে এ কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হবে।
এ কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও বলেন, পিএসসির আদলেই বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব পদে শিক্ষক নিয়োগ করবে এ কমিশন। কমিশন গঠিত হলে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা এনটিআরসিএর হাতে থাকছে না। কমিশনই সব পদে শিক্ষক নিয়োগ দেবে।

Comments

Popular posts from this blog

বিষয় ভিত্তিক আয়াত-হাদিসঃ মুমিনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য - দাওয়াত - সংগঠন - প্রশিক্ষণ - ইসলামী শিক্ষা - ইসলামী বিপ্লব

বিষয় ভিত্তিক আয়াত-হাদিসঃ মুমিনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য - দাওয়াত - সংগঠন - প্রশিক্ষণ - ইসলামী শিক্ষা - ইসলামী বিপ্লব মুমিনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কুরআন انى وجهت وجهى للذي فطر السموات والارض حنيفا وما انا من المشركين ـ (انعام ـ 79) উচ্চারণ: : ইন্নী ওয়াজজাহাতু ওয়াজহিইয়া লিল্লাযী ফাতরাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানীফাও ওয়া মা আনা মিনাল মুশরিকীন। (১) আমি তো একমুখী হয়ে নিজের লক্ষ্য সেই মহান সত্তার দিকে কেন্দ্রীভূত করছি যিনি যমীন ও আসমানসমূহকে সৃষ্টি করেছেন এবং আমি কনিকালেও মুশরিকদের মধ্যে শামিল নই। (সূরা আনয়াম: ৭৯) قل ان صلاتى ونسكى ومحياي ومماتى لله رب العلمين ـ (انعام :162) উচ্চারণ: : কুল ইন্না ছালাতী ওয়া নুসুকী ওয়া মাহইয়াইয়া ওযা মামাতী লিল্লাহি রাব্বিল আ’লামীন। (২) বল, আমার নামায, আমার যাবতীয় ইবাদত, আমরা জীবন ও মৃত্যু সবকিছুই সারা জাহানের রব আল্লাহরই জন্য। (সূরা আনয়াম: ১৬২) وما خلقت الجن والانس الا ليعبدون ـ (ذارية ـ 56) উচ্চারণ: : ওয়া মা খলাকতুল জিন্না ওয়াল ইনসা ইল্লা লিইয়া’বুদূন। (৩) আমি জ্বিন ও মানুষকে অন্য কোন উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করিনি, কেবল এজন্য সৃষ্টি করেছি যে তারা আমার বন্...

বিষয় ভিত্তিক আয়াত-হাদিসঃ অর্থব্যয়-আখেরাত-জান্নাত-জাহান্নাম-ব্যক্তিগত রিপোর্ট-আত্মসমালোচনা

বিষয় ভিত্তিক আয়াত-হাদিসঃ অর্থব্যয়-আখেরাত-জান্নাত-জাহান্নাম-ব্যক্তিগত রিপোর্ট-আত্মসমালোচনা আত্মসমালোচনা কুরআন اِقْتَرَبَ لِنَّاسِ حِسَابُهُمْ وَ هُوْ فِيْ غَفْلَةٍ مُّعْرِضُوْنَ ـ উচ্চারণ: : ইকতারাবা লিন্নাসি হিসাবুহুম ওয়া হুম ফী গাফলাতিম মু’রিদূন। (১) মানুষের হিসাব অতি নিকটে ঘানিয়ে আসছে অথচ তারা গাফলতির মধ্যে বিমুখ হয়ে রয়েছে। (সূরা আম্বিয়া : ১) وَلَتُسْئَلُنَّ عَمَّا كُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ ـ উচ্চারণ: : ওয়া লাতুসআলুন্না আম্মা কুনতুম তালামূন। (২) তোমাদের কার্যক্রম সম্পর্কে তোমাদেরকে অবশ্য অবশ্যই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। (সূরা নাহল : ৯৩) اِنَّ اللهَ سَرِيْعُ الْحِسَابِ ـ উচ্চারণ: : ইন্নাল্লাহা সারীউ’ল হিসাব। (৩) নিশ্চিত জেনো, আল্লাহ অতি দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী। (সূরা আলে ইমরান : ১৯৯) وَاِنَّهُ لَذِكْرُلَكَ وَلَقَوْمِكَ ـ وَسُوْفَ تُسْئَلُوْنَ ـ উচ্চারণ: : ওয়া ইন্নাহূ লাযিকরুলাকা ওয়া সাওফা তুসআলূন। (৪) অবশ্যই এই কিতাব আপনার জন্যে এবং আপনার জাতির জন্যে অতি বড় মর্যাদার বিষয়। আর শীঘ্র আপনাদেরকে তার জন্যে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। (সূরা যুখরুফ : ৪৪) اِنَّ اِلَيْنَا اِيَا...

সাইয়েদ কুতুব শহীদের জীবনী

ইসলামী আন্দোলনের অন্যতম প্রাণপুরুষ সাইয়েদ কুতুব শহীদ জন্ম ও শিক্ষাজীবন সাইয়েদ কুতুবের মূল নাম হলো সাইয়েদ ; কুতুব তার বংশীয় উপাধি। তার পূর্বপুরুষরা আরব উপদ্বীপ থেকে এসে মিসরের উত্তরাঞ্চলে বসবাস শুরু করেন। তার পিতার নাম হাজী ইবরাহীম কুতুব। তিনি চাষাবাদ করতেন। তার মাতার নাম ফাতিমা হোসাইন উসমান , যিনি অত্যন্ত ধার্মিক মহিলা ছিলেন। তারা মোট দুই ভাই এবং তিন বোন ছিলেন। ভাইরা হলেন সাইয়েদ কুতুব এবং মুহাম্মাদ কুতুব। আর বোনেরা হলেন হামিদা কুতুব এবং আমিনা কুতুব। পঞ্চম বোনের নাম জানা যায়নি। সাইয়েদ কুতুব ছিলেন সবার বড়। তারা সব ভাই-বোনই উচ্চশিক্ষা লাভ করেন এবং ইসলামী আন্দোলনের জন্য প্রভূত ত্যাগ স্বীকার করেন। সাইয়েদ কুতুব ১৯০৬ সালে মিসরের উসইউত জিলার মুশা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার আম্মা ফাতিমা হোসাইন উসমান অত্যন্ত দ্বীনদার ও আল্লাহভীরু মহিলা ছিলেন। সাইয়েদের পিতা হাজী ইবরাহীম চাষাবাদ করতেন কিন্তু তিনিও ছিলেন অত্যন্ত ধর্মপরায়ণ ও চরিত্রবান। কর্মজীবন গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাইয়েদ কুতুবের শিক্ষা শুরু হয়। মায়ের ইচ্ছানুসারে তিনি শৈশবেই কোরআন হেফয করেন। পরবর্তীকালে তার পিতা কায়রো ...