Skip to main content

সাইয়েদ কুতুব শহীদের জীবনী


ইসলামী আন্দোলনের অন্যতম প্রাণপুরুষ সাইয়েদ কুতুব শহীদ

জন্ম ও শিক্ষাজীবন
সাইয়েদ কুতুবের মূল নাম হলো সাইয়েদ; কুতুব তার বংশীয় উপাধি। তার পূর্বপুরুষরা আরব উপদ্বীপ থেকে এসে মিসরের উত্তরাঞ্চলে বসবাস শুরু করেন। তার পিতার নাম হাজী ইবরাহীম কুতুব। তিনি চাষাবাদ করতেন। তার মাতার নাম ফাতিমা হোসাইন উসমান, যিনি অত্যন্ত ধার্মিক মহিলা ছিলেন। তারা মোট দুই ভাই এবং তিন বোন ছিলেন। ভাইরা হলেন সাইয়েদ কুতুব এবং মুহাম্মাদ কুতুব। আর বোনেরা হলেন হামিদা কুতুব এবং আমিনা কুতুব। পঞ্চম বোনের নাম জানা যায়নি। সাইয়েদ কুতুব ছিলেন সবার বড়। তারা সব ভাই-বোনই উচ্চশিক্ষা লাভ করেন এবং ইসলামী আন্দোলনের জন্য প্রভূত ত্যাগ স্বীকার করেন।
সাইয়েদ কুতুব ১৯০৬ সালে মিসরের উসইউত জিলার মুশা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার আম্মা ফাতিমা হোসাইন উসমান অত্যন্ত দ্বীনদার ও আল্লাহভীরু মহিলা ছিলেন। সাইয়েদের পিতা হাজী ইবরাহীম চাষাবাদ করতেন কিন্তু তিনিও ছিলেন অত্যন্ত ধর্মপরায়ণ ও চরিত্রবান।

কর্মজীবন
গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাইয়েদ কুতুবের শিক্ষা শুরু হয়। মায়ের ইচ্ছানুসারে তিনি শৈশবেই কোরআন হেফয করেন। পরবর্তীকালে তার পিতা কায়রো শহরের উপকণ্ঠে হালওয়ান নামক স্থানে বসবাস শুরু করেন। সাইয়েদ তাজহিযিয়াতু দারুল উলুম মাদরাসায় শিক্ষা সমাপ্ত করে কায়রোর বিখ্যাত মাদরাসা দারুল উলুমে ভর্তি হন। ১৯৩৩ সালে ওই মাদরাসা থেকে বিএ ডিগ্রি লাভ করেন এবং সেখানেই অধ্যাপক নিযুক্ত হন।
কিছুকাল অধ্যাপনা করার পর তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্কুল ইন্সপেক্টর নিযুক্ত হন। মিসরে ওই পদটিকে অত্যন্ত সম্মানজনক বিবেচনা করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেই তাকে আধুনিক শিক্ষাপদ্ধতি পড়াশোনার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়।
তিনি দুবছরের কোর্স শেষ করে বিদেশ থেকে দেশে ফিরে আসেন। আমেরিকায় থাকাকালেই তিনি বস্তুবাদী সমাজের দুরবস্থা লক্ষ্য করেন। তার দৃঢ় বিশ্বাস জন্মে যে, একমাত্র ইসলামই সত্যিকার অর্থে মানবসমাজকে কল্যাণের পথে নিয়ে যেতে পারে।
আমেরিকা থেকে দেশে ফেরার পরই তিনি ইখওয়ানুল মুসলেমিন দলের আদর্শ, উদ্দেশ্য ও কর্মসূচি যাচাই করতে শুরু করেন। ১৯৪৫ সালে তিনি ওই দলের সদস্য হয়ে যান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সরকার যুদ্ধ শেষে মিসরকে স্বাধীনতাদানের ওয়াদা করেন। যুদ্ধ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ইখওয়ান দল ব্রিটিশের মিসর ত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। এর ফলে তাদের জনপ্রিয়তা অত্যন্ত বেড়ে যায়। মাত্র দুবছর সময়ের মধ্যে এ দলের সক্রিয় কর্মীসংখ্যা পঁচিশ লাখে পৌঁছে। সাধারণ সদস্য, সমর্থক ও সহানুভূতিশীলদের সংখ্যা ছিল কর্মী সংখ্যার কয়েকগুণ বেশি। ব্রিটিশ ও স্বৈরাচারী মিসর সরকার ইখওয়ানের জনপ্রিয়তা দেখে ভীত হয়ে পড়ে এবং এ দলের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।
১৯৫২ সালের জুলাই মাসে মিসরে সামরিক বিপ্লব সংঘটিত হয়। ওই বছরই ইখওয়ান দল পুনরায় বহাল হয়ে যায়। ড, হাসানুল হোদাইবি দলের মোরশেদু-এ-আম নির্বাচিত হন। দলের আদর্শ প্রচার ও আন্দোলনের সম্প্রসারণ বিভাগ তার পরিচালনাধীনে অগ্রসর হতে থাকে। পরিপূর্ণরূপে নিজেকে আন্দোলনের কাজে উত্সর্গ করেন তিনি।

গ্রেফতার ও নির্যাতন
১৯৫৪ সালে ইখওয়ান পরিচালিত সাময়িকী-ইখওয়ানুল মুসলিমিন’-এর সম্পাদক নির্বাচিত হন। ছমাস পরই কর্নেল নাসেরের সরকার পত্রিকাটি বন্ধ করে দেয়। কারণ, ওই বছর মিসর সরকার ব্রিটিশের সঙ্গে নতুন করে যে চুক্তিপত্র সম্পাদন করে, পত্রিকাটি তার সমালোচনা করে। পত্রিকা বন্ধ করে দেয়ার পর নাসের সরকার এ দলের ওপর নির্যাতন শুরু করে। একটি বানোয়াট হত্যা ষড়যন্ত্র মামলার অভিযোগে ইখওয়ানুল মুসলিমিন দলকে বেআইনি ঘোষণা করে দলের নেতাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ইখওয়ান নেতাদের মধ্যে সাইয়েদ কুতুবও ছিলেন। তাকে মিসরের বিভিন্ন জেলে রাখা হয়। গ্রেফতারের সময় তিনি ভীষণভাবে জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। সামরিক অফিসার তাকে সে অবস্থায় গ্রেফতার করে। তার হাতে-পায়ে শিকল পরানো হয়। শুধু তা-ই নয়, সাইয়েদ কুতুবকে প্রবল জ্বরে আক্রান্ত অবস্থায় জেল পর্যন্ত হেঁটে যেতে বাধ্য করা হয়। পথে কয়েকবার বেহুঁশ হয়ে তিনি মাটিতে পড়ে যান। হুঁশ ফিরে এলে তিনি বলতেনআল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।
জেলে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই জেল কর্মচারীরা তাকে মারপিট করতে শুরু করে এবং দুঘণ্টা পর্যন্ত এ নির্যাতন চলতে থাকে। তারপর একটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর তার ওপর লেলিয়ে দেয়া হয়। কুকুর তার পা কামড়ে ধরে জেলের আঙ্গিনায় টেনে নিয়ে বেড়ায়। এ প্রাথমিকঅভ্যর্থনাজানানোর পর একটানা সাত ঘণ্টা তাকে জেরা করা হয়। তার স্বাস্থ্য এসব নির্যাতন সহ্য করার আর যোগ্য ছিল না। কিন্তু তার সুদৃঢ় ঈমানের বলে পাষাণ থেকে উচ্চারিত হতে থাকে : আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।
জেলের অন্ধকার কুঠরী রাতে তালাবদ্ধ করা হতো। আর দিনের বেলা তাকে রীতিমত প্যারেড করানো হতো। তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। বক্ষপীড়া, হৃrণ্ডের দুর্বলতা ও সর্বাঙ্গে জোড়ায় জোড়ায় ব্যথা ইত্যাদি বিভিন্ন রোগে তিনি কাতর হয়ে পড়েন। তবু তার গায়ে আগুনের ছেঁকা দেয়া হতে থাকে। পুলিশের কুকুর তার শরীরে নখ ও দাঁতের আঁচড় কাটে। তার মাথায় খুব গরম পানি এবং পরক্ষণেই বেশি ঠাণ্ডা পানি ঢালা হতে থাকে। লাথি, কিল, ঘুষি, অশ্লীল ভাষায় গালাগাল ইত্যাদি তো ছিল দৈনন্দিন ব্যাপার। ১৯৫৫ সালের ১৩ জুলাই, গণআদালতের বিচারে তাকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। অসুস্থতার দরুন তিনি আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার এক বছর কারাভোগের পর নাসের সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেয়া হয় যে, তিনি সংবাদপত্রের মাধ্যমে ক্ষমার আবেদন করলে তাকে মুক্তি দেয়া যেতে পারে। মর্দে মুমিন এ প্রস্তাবের যে জবাব দিয়েছিলেন, তা ইতিহাসের পাতায় অম্লান হয়ে থাকবে। তিনি বলেন : আমি এ প্রস্তাব শুনে অত্যন্ত আশ্চর্যান্বিত হচ্ছি যে, মজলুমকে জালিমের নিকট ক্ষমার আবেদন জানাতে বলা হচ্ছে। আল্লাহর কসম! যদি ক্ষমা প্রার্থনার কয়েকটি শব্দ আমাকে ফাঁসি থেকেও রেহাই দিতে পারে, তবু আমি এরূপ শব্দ উচ্চারণ করতে রাজি নই। আমি আল্লাহর দরবারে এমন অবস্থায় হাজির হতে চাই যে, আমি তাঁর প্রতি এবং তিনি আমার প্রতি সন্তুষ্ট।পরবর্তীকালে তাকে যতবার ক্ষমা প্রার্থনার পরামর্শ দেয়া হয়েছে ততবারই তিনি একই কথা বলেছেন : যদি আমাকে যথার্থই অপরাধের জন্য কারারুদ্ধ করা হয়ে থাকে, তাহলে আমি এতে সন্তুষ্ট আছি। আর যদি বাতিল শক্তি আমাকে অন্যায়ভাবে বন্দি করে থাকে, তাহলে আমি কিছুতেই বাতিলের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করব না।
১৯৬৪ সালের মাঝামাঝি ইরাকের প্রেসিডেন্ট আবদুস সালাম আরিফ মিসর যান। তিনি সাইয়েদ কুতুবের মুক্তির সুপারিশ করায় কর্নেল নাসের তাকে মুক্তি দিয়ে তারই বাসভবনে অন্তরীণা করেন।
এক বছর যেতে না যেতেই তাকে আবার বলপূর্বক ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। অথচ তিনি তখনও পুলিশের কড়া পাহারাধীন ছিলেন। শুধু তিনি নন, তার ভাই মুহাম্মাদ কুতুব, বোন হামিদা কুতুব ও আমিনা কুতুবসহ বিশ হাজারেরও বেশি লোককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এদের মধ্যে প্রায় সাতশছিলেন মহিলা।
১৯৬৫ সালে কর্নেল নাসের মস্কো সফরে থাকাকালীন এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেন যে, ইখওয়ানুল মুসলিমিন তাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেছিল। আর এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই সারা মিসরে ইখওয়ান নেতা ও কর্মীদের ব্যাপক ধরপকড় শুরু হয়। ১৯৬৪-র ২৬ মার্চ জারিকৃত একটি নতুন আইনের বলে প্রেসিডেন্টকে যে কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার, তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ প্রভৃতি দণ্ডবিধির অধিকার প্রদান করা হয়। তার জন্য কোনো আদালতে প্রেসিডেন্টের গৃহীত পদক্ষেপের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা যাবে না বলেও ঘোষণা করা হয়।
কিছুকাল পর বিশেষ সামরিক আদালতে তাদের বিচার শুরু হয়। প্রথমত ঘোষণা করা হয় যে, টেলিভিশনে ওই বিচারানুষ্ঠানের দৃশ্য প্রচার করা হবে। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তিরা অপরাধ স্বীকার করতে অস্বীকার এবং তাদের প্রতি দৈহিক নির্যাতনের বিবরণ প্রকাশ করায় টেলিভিশন বন্ধ করে দেয়া হয়। তারপর রুদ্ধদ্বার কক্ষে বিচার চলতে থাকে। আসামিদের পক্ষে কোনো উকিল ছিল না।
অন্য দেশ থেকে আইনজীবীরা আসামি পক্ষ সমর্থনের আবেদন করেন। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করা হয়। ফরাসি বার অ্যাসোসিয়েশনের ভূতপূর্ব সভাপতি উইলিয়াম থরপ (ঞযড়ত্ঢ়) ও মরোক্কোর দুজন আইনজীবী আসামি পক্ষ সমর্থনের জন্য রীতিমত আবেদন করেন। কিন্তু তা নামঞ্জুর করা হয়। সুদানের দুজন আইনজীবী কায়রো পৌঁছে তথাকার বার অ্যাসোসিয়েশনে নাম রেজিস্ট্রি করে আদালতে হাজির হন। পুলিশ তাদের আদালত থেকে ধাক্কা মেরে বের করে দেয় এবং মিসর ত্যাগ করতে বাধ্য করে।
সাইয়েদ কুতুব ও অন্য আসামিরা ১৯৬৬ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে বিচার চলাকালে ট্রাইব্যুনালের সামনে প্রকাশ করেন যে, অপরাধ স্বীকার করার জন্য তাদের ওপর অমানুষিক দৈহিক নির্যাতন চালানো হয়। ট্রাইব্যুনালের সভাপতি আসামিদের কোনো কথার প্রতিই কান দেননি।
ইংরেজি ১৯৬৬ সালের আগস্ট মাসে সাইয়েদ কুতুব ও তার দুজন সঙ্গীকে সামরিক ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ শোনানো হয়। সারা দুনিয়ায় প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। কিন্তু ১৯৬৬ সালের ২৫ আগস্ট ওই দণ্ডাদেশ কার্যকর করা হয়।

জ্ঞান ও সাহিত্যচর্চা
সাইয়েদ কুতুব মিসরের প্রখ্যাত আলেম ও সাহিত্যিকদের অন্যতম। শিশুসাহিত্য দিয়ে তার সাহিত্যিক জীবনের সূচনা। ছোটদের জন্য আকর্ষণীয় ভাষায় নবীদের কাহিনী লিখে তিনি প্রতিভার পরিচয় দেন। শিশুদের মনে ইসলামী ভাবধারা জাগানোর জন্য এবং তাদের চারিত্রিক মান উন্নয়নের উদ্দেশ্যে তিনি গল্প লিখেন। পরবর্তীকালে আশওয়াক’ (কাটা) নামে ইসলামী ভাবধারাপুষ্ট একখানা উপন্যাস রচনা করেন। পরে ওই ধরনের আরও দুটি উপন্যাস রচনা করেন। একটি তিফলে মিনাল কস্ফারীয়া’ (গ্রামের ছেলে) ও অন্যটি মদিনাতুল মাসহুর’ (যাদুর শহর)। তার রচিত গ্রন্থাবলির বিবরণ নিম্নরূপ :
১. (কোরআনের আঁকা কেয়ামতের দৃশ্য)। কোরআন পাকের ১১৪টি সুরার মধ্য থেকে ৮০টি সুরার ১৫০ স্থানে কেয়ামতের আলোচনা রয়েছে। সাইয়েদ বিপুল দক্ষতার সঙ্গে সেসব বিবরণ থেকে হাশরের ময়দান, দোজখ ও বেহেশতের চিত্র এঁকেছেন।
 ২. ২০০ পৃষ্ঠা সংবলিত গ্রন্থখানায় সাইয়েদ কুতুব কোরআনের ভাষা, ছন্দ, অলঙ্কার ও হৃদয়গ্রাহী বর্ণনাভঙ্গীর আলোচনা করেছেন।
৩. ইসলাম ও সামাজিক সুবিচার। এ পর্যন্ত বইখানার ৭ম সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় বইখানা অনূদিত হয়েছে। যথা, ইংরেজি, ফারসি, তুর্কি ও উর্দু ভাষায়।
৪. সাইয়েদ কুতুবের এক অনবদ্য অবদান আট খণ্ডে সমাপ্ত এক জ্ঞানের সাগর। ঠিক তাফসির নয় বরং কোরআন অধ্যয়নকালে তার মনে যেসব ভাবের উদয় হয়েছে তা-ই তিনি কাগজের বুকে এঁকেছেন এবং প্রতিটি আয়াতের ভেতরে লুকানো দাওয়াত সংশোধনের উপায়, সতর্কীকরণ, আল্লাহর পরিচয় ইত্যাদি বিষয়ে নিপুণতার সঙ্গে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
 ৫. ইসলাম ও পুঁজিবাদের দ্বন্দ্ব।
৬. বিশ্বশান্তি ও ইসলাম।
 ৭. ইসলামী রচনাবলী।
 ৮. সাহিত্য সমালোচনার মূলনীতি ও পদ্ধতি।
৯.ভবিষ্যত্ সংস্কৃতিনামক পুস্তকের সমালোচনা।
১০. গ্রন্থাবলী ও ব্যক্তিত্ব।
১১. ইসলামী সমাজের চিত্র।
 ১২. আমি যে আমেরিকা দেখেছি।
১৩. চার ভাই-বোনের চিন্তাধারা। এতে সাইয়েদ কুতুব, মুহাম্মাদ কুতুব, আমিনা কুতুব ও হামিদা কুতুবের রচনা একত্রে সংকলিত হয়েছে।  
১৪. নবীদের কাহিনী।
           ১৫. জীবনে কবির আসল কাজ।
                                           ১৬. সমাজ বিপ্লবের ধারা।
সমাজ বিপ্লবের ধারা পুস্তক লেখার জন্যই মিসর সরকার সাইয়েদ কুতুবকে অভিযুক্ত করেন এবং ওই অভিযোগে তার মৃত্যুদণ্ড হয়।
সাইয়েদ কুতুব শহীদের যে জিনিসটা আমার সবচাইতে ভালো লাগে তা হচ্ছে, বর্তমান বিশ্বের গণতান্ত্রিক এবং অগণতান্ত্রিক উভয় ইসলামী দলের নেতাকর্মীরা তাকে অনুসরণ করে, তার রচিত সাহিত্য থেকে অনুপ্রেরণা খোঁজে। এই ব্যাপারটাই অন্যান্য ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের চাইতে সাইয়েদ কুতুবকে স্বতন্ত্র মর্যাদাদান করেছে। মূলত যে বইটি লিখার কারণে সাইয়েদ কুতুবকে ফাঁসি দেয়া হয় সেই বইটির নাম আগামী বিপ্লবের ঘোষণাপত্রইংরেজিতে মাইলস্টোন
আশা করি অনেকেই বইটি পড়েছেন। আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে এসব মহাপুরুষের জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে বাতিলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার তৌফিক দেন।

Comments

  1. আল্লাহ স্যাইয়েদ কুতুব শহীদকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুক ( আমিন)

    ReplyDelete
  2. আসসালামুআলাইকুমওয়ারহমাতুল্লাহিওয়াবারাকাতু হাদিস গুলার নাম্বার দেওয়াথাকলে ভালো হত।

    ReplyDelete
  3. আল্লাহ তুমি তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করো

    ReplyDelete
  4. আল্লাহ সাইয়েদ কুতুব শহিদ রহমতলুললাহ আলাই কে
    জাননাতের ফেরদৌস নসীব করুক আমীন

    ReplyDelete
  5. আল্লাহ তুমি তাকে জান্নাত দান করুন আমিন

    ReplyDelete
  6. আল্লাহ তুমি তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

বিষয় ভিত্তিক আয়াত-হাদিসঃ মুমিনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য - দাওয়াত - সংগঠন - প্রশিক্ষণ - ইসলামী শিক্ষা - ইসলামী বিপ্লব

বিষয় ভিত্তিক আয়াত-হাদিসঃ মুমিনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য - দাওয়াত - সংগঠন - প্রশিক্ষণ - ইসলামী শিক্ষা - ইসলামী বিপ্লব মুমিনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কুরআন انى وجهت وجهى للذي فطر السموات والارض حنيفا وما انا من المشركين ـ (انعام ـ 79) উচ্চারণ: : ইন্নী ওয়াজজাহাতু ওয়াজহিইয়া লিল্লাযী ফাতরাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানীফাও ওয়া মা আনা মিনাল মুশরিকীন। (১) আমি তো একমুখী হয়ে নিজের লক্ষ্য সেই মহান সত্তার দিকে কেন্দ্রীভূত করছি যিনি যমীন ও আসমানসমূহকে সৃষ্টি করেছেন এবং আমি কনিকালেও মুশরিকদের মধ্যে শামিল নই। (সূরা আনয়াম: ৭৯) قل ان صلاتى ونسكى ومحياي ومماتى لله رب العلمين ـ (انعام :162) উচ্চারণ: : কুল ইন্না ছালাতী ওয়া নুসুকী ওয়া মাহইয়াইয়া ওযা মামাতী লিল্লাহি রাব্বিল আ’লামীন। (২) বল, আমার নামায, আমার যাবতীয় ইবাদত, আমরা জীবন ও মৃত্যু সবকিছুই সারা জাহানের রব আল্লাহরই জন্য। (সূরা আনয়াম: ১৬২) وما خلقت الجن والانس الا ليعبدون ـ (ذارية ـ 56) উচ্চারণ: : ওয়া মা খলাকতুল জিন্না ওয়াল ইনসা ইল্লা লিইয়া’বুদূন। (৩) আমি জ্বিন ও মানুষকে অন্য কোন উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করিনি, কেবল এজন্য সৃষ্টি করেছি যে তারা আমার বন্

আল-আইয়্যামে ড. ত্বহা হুসায়নের শৈশব জীবন চিত্র

আল-আইয়্যামে ড. ত্বহা হুসায়নের শৈশব জীবন   চিত্র আরবী সাহিত্য জগতে উনিশ শতকের শেষার্ধে মিশরে ডঃ ত্বহা হুসায়নের আবির্ভাব ঘটে ; সে সময় অনুকরণের উষ্ণ হাওয়া বইছিল। নানা প্রকার কুসংস্কারে নিপতিত , বৈদেশিক শাসনের যাতাকলে নিষ্পেষিত , ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য ও বাক স্বাধীনতা , রাজনৈতিক অধিকার , অর্থনৈতিক মূল্যবোধ , মানবিক অধিকার ও সামাজিক মর্যাদা থেকে জাতি বঞ্চিত অবহেলিত , ঠিক তখন এ লাঞ্ছিত , উৎপীড়িত দিশেহারা জাতিকে পথ নির্দেশনার জন্যই ছিল তাঁর সাহিত্যকর্ম । তাঁর ক্ষুরধার লিখনীতে তন্দ্রাচ্ছন্ন জাতির সুপ্তপ্রাণে বিপ্লবের জোয়ার এসেছিল। তিনি ছিলেন একাধারে শিক্ষাবিদ , সংস্কারক , গবেষক , ঐতিহাসিক , বিজ্ঞানধর্মী সমালোচক , প্রভাবশালী বাগ্নী , সর্বোপরি আধুনিক মিশর ও আধুনিক আরবী সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা।১ The New Encyclopaedia Britannica তে বলা হয়েছে “Taha Hussain, was an outstanding Figure of the Modernist movement in Egyptian literature.” 2  ডঃ ত্বহা হুসায়ন রচিত অসংখ্য গ্রন্থাবলীর মধ্যে আল- আইয়্যাম বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। এটি তিন খন্ডে সমাপ্ত। যার মধ্যে তিনি নিজ জীবনীর বিভিন্ন দিক তু

মনে রাখার সহজ কৌশলে Exclusive টেকনিকে আর্ন্তজাতিক বিষয়াবলী সাধারন জ্ঞান। আশা করি মনোযোগ দিয়ে একবার পড়লেই মনে থাকবে।

মনে রাখার সহজ কৌশলে Exclusive টেকনিকে আর্ন্তজাতিক বিষয়াবলী সাধারন জ্ঞান। আশা করি মনোযোগ দিয়ে একবার পড়লেই মনে থাকবে। SAARC এর সদস্যঃ Exclusive টেকনিকঃ NIPA MBBS পড়তে আগ্রহী। NIPA = নেপাল, ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, আফগানিস্থান। MBBS= মালদীপ, বাংলাদেশ, ভুটান, শ্রীলংকা। ECO – ভুক্ত শর্টকাট মনে রাখার নিয়মঃ Exclusive টেকনিকঃ আইতু + ৭ স্তান। =আজারবাইজান, ইরান, তুরস্ক, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, কাজাখস্তান, কিনঘিজিস্তান, তুর্কিমেনিস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান। D-8 ভুক্ত শর্টকাট মনে রাখার নিয়মঃ Exclusive টেকনিকঃ বাপ মা নাই তুমিই সব। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মালয়শিয়া, নাইজেরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, মিসর, ইরান। ASEAN এর সদস্যঃ Exclusive টেকনিকঃ MTV তে FILM দেখলে BCS হবে না। Mayanmar, Thailand, Vietnam, Phillipines, Indonesia, Laos, Malaysia, Brunei, Cambodia, Singapore. Super Seven এর সদস্যঃ Exclusive টেকনিকঃ থামাই+ সিতাদহ থাইল্যান্ড, মালয়শিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিংগাপুর, তাইওয়ান, দঃ কোরিয়া, হংকং। থাইল্যান্ড, মালয়শিয়া, ইন্দোনেশিয়া + FOUR TIGERS. Scandinavian States এর সদস্যঃ Exclusive টেকন