Skip to main content

বিষয় ভিত্তিক আয়াত-হাদিসঃ মুমিনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য - দাওয়াত - সংগঠন - প্রশিক্ষণ - ইসলামী শিক্ষা - ইসলামী বিপ্লব

বিষয় ভিত্তিক আয়াত-হাদিসঃ

মুমিনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য - দাওয়াত - সংগঠন - প্রশিক্ষণ - ইসলামী শিক্ষা - ইসলামী বিপ্লব

মুমিনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

কুরআন

انى وجهت وجهى للذي فطر السموات والارض حنيفا وما انا من المشركين ـ (انعام ـ 79)
উচ্চারণ: : ইন্নী ওয়াজজাহাতু ওয়াজহিইয়া লিল্লাযী ফাতরাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানীফাও ওয়া মা আনা মিনাল মুশরিকীন।
(১) আমি তো একমুখী হয়ে নিজের লক্ষ্য সেই মহান সত্তার দিকে কেন্দ্রীভূত করছি যিনি যমীন ও আসমানসমূহকে সৃষ্টি করেছেন এবং আমি কনিকালেও মুশরিকদের মধ্যে শামিল নই। (সূরা আনয়াম: ৭৯)

قل ان صلاتى ونسكى ومحياي ومماتى لله رب العلمين ـ (انعام :162)
উচ্চারণ: : কুল ইন্না ছালাতী ওয়া নুসুকী ওয়া মাহইয়াইয়া ওযা মামাতী লিল্লাহি রাব্বিল আ’লামীন।
(২) বল, আমার নামায, আমার যাবতীয় ইবাদত, আমরা জীবন ও মৃত্যু সবকিছুই সারা জাহানের রব আল্লাহরই জন্য। (সূরা আনয়াম: ১৬২)

وما خلقت الجن والانس الا ليعبدون ـ (ذارية ـ 56)
উচ্চারণ: : ওয়া মা খলাকতুল জিন্না ওয়াল ইনসা ইল্লা লিইয়া’বুদূন।
(৩) আমি জ্বিন ও মানুষকে অন্য কোন উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করিনি, কেবল এজন্য সৃষ্টি করেছি যে তারা আমার বন্দেগী করবে। (সূরা যারিয়াহ: ৫৬)

হাদীস
عن ابى امامة (رض) قال قال رسول الله (صلعم) من احب لله وابغض لله وعطى لله ومنع لله فقد استكمل الايمان ـ (بخاري)
(১) হযরত আবু উমামা (রা) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেছেন, যে ব্যক্তির ভালবাসা ও শত্রুতা, দান করা ও না করা নিছক আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধানের জন্যেই হয়ে থাকে, সে ব্যক্তিই পূর্ণ ঈমানদার। (বুখারী)

عن عباس (رض) قال قال رسول الله (صلعم) ذاق طعم الايمان من رضى بالله ربا وبالاسلام دينا وبمحمد رسولا ـ (بخاري ـ مسلم)
(২) হযরত আব্বাস (রা) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেছেন, যে ব্যক্তি পূর্ণ আন্তরিকতার সাথে আল্লাহকে রব, ইসলামকে দ্বীন এবং মুহাম্মদ (সা) কে নবী হিসেবে কবুল করেছে সেই ব্যক্তি ঈমানের প্রকৃত স্বাদ গ্রহণ করেছে। (বুখারী, মুসলিম)

وعن ابى ذر (رض) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم افضل الاعمال الحب فى الله البغض فى الله ـ (ابوداود)
(৩) হযরত আবুযর গিফারী (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা) বলেছেন, সকল কাজের শ্রেষ্ঠ কাজ হচ্ছে আল্লাহর জন্য মিত্রতা আল্লাহর জন্য শত্রুতা করা। (আবু দাউদ)



 প্রথম দফা : দাওয়াত

কুরআন

يايها المدثر ـ قم فانذر ـ وربك فكبر ـ (مدثر : 1-3)
উচ্চারণ: : ইয়া আইয়ুহাল মুদ্দাচ্ছির, কুম ফাআনযির, ওয়া রাব্বাকা ফাকাব্বির।
(১) হে আবৃত শয্যাগ্রহণকারী। উছ সাবধান কর, আর তোমার রবের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর। (সূরা মুদ্দাসির : ১-৩)

وَمَنْ اَحْسَنُ قَوْلاَ مِّمَّنْ دَعَآ اِلى اللهِ وَعَمِلَ صَلِحًاوَقَلَ اِنَّنِىْ مِنَ الْمُسْلِمِيْنَ ـ (السجدة : 32)
উচ্চারণ: : ওয়া মান আহসানু কাওলাম মিম্মান দাআ’ ইলাল্লাহি ওয়া আ’মিলা ছালিহাও ওয়া কালা ইন্নানী মিনাল মুসলিমীন।
(২) তার কথার চাইতে আর কার কথা উত্তম হতে পার? যে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকে, নেক আমল করে এবং ঘোষণা করে আমি মুসলমানের অন্তর্ভূক্ত। (সূরা হা-মীম আস-সাজদা: ৩৩)

كُنْتُمْ خَيْرَ اُمَّةٍ اُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَاْمُرُوْنَ بِالْمَعْرُوْنَ بِالْمَعْرُوْفِ وَتَنْهُوْنَ عَنِِ الْمُنْكَرِ ـ (ال عمران : 110)
উচ্চারণ: : কুনতুম খাইরা উম্মাতিন উখরিযাত লিন্নাসি তা’মুরূনা বিলমা’রুফি ওয়া তানহাওয়া আ’নিল মুনকার।
(৩) তোমাদেরকে উত্তম জাতি হিসেবে সৃষ্টি করা হয়েছে। তোমাদের কাজ হল, তোমরা মানুষদের সৎ পথে আহ্বান করবে এবং অন্যায় ও পাপ কাজ থেকে বিরত রাখবে। (সূরা আলে-ইমরান : ১১০)
আরো দেখুন: সূরা আরাফ: ৫৯,৭৩,৮৫, সূরা বাকারা: ২০৮, সূরা মায়েদা: ৬৭, সূরা শুআরা: ১৫, সূরা ইব্রাহীম : ৫, সূরা ইউসুফ: ১০৮, সূরা ফাতির : ২৪)

হাদীস

عَنْ عِبْدِ اللهِ بْنُ عُمْرِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ (ص) بَلِّغُوْا عَنِيْ وَلَوْ اَيَةٌ ـ (بخاري)
(১) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা) বলেছেন, আমার পক্ষ থেকে একটি আয়াত জানলেও তা অপরের কাছে পৌঁছে দাও। (বুখারী)

عَنْ اَنَسِ (رض) قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ (صلعم) يَسِّرُوْا وَلاَتُعَسِّرُوْا بَشِرُوْا وَلاَتُنَفَّرُا وَلاَ تُنَفِّرُوْا ـ (بخاري ـ مسلم)
(২) হযরত আনাস (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা) বলেছেন, তোমরা (দ্বীনের দাওয়াত) সহজ করো, কঠিন করো না। সুসংবাদ দাও, বিতশ্রদ্ধ করো না। (বুখারী, মুসলিম)

قَالَ النَّبْىُّ (ص) فَلْيُبَلِّغُوْا الشًاهِدُ الْغَائِبُ ـ (بخاري)
(৩) মহানবী (সা) বলেছেন, আজকে যারা উপস্থিত তারা অনুপস্থিতদের কাছে (আমার বাণী) পৌঁছে দাও। (বুখারী)



 দ্বিতীয় দফা : সংগঠন

কুরআন

وَعَتَصِمُوْا بِحَبْلِ اللهِ جَمِيْعًا وَّلاَتَفَرَّقُوْا ـ (العمران : 103)
উচ্চারণ: : ওয়া’তাছিমূ বিহাবলিল্লাহি জামিআ’ও ওয়ালা তাফারাকূ।
(১) তোমরা সংঘবদ্ধভাবে আল্লাহর রজ্জুকে ধারণ কর এবং পরষ্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। (সূরা আলে ইমরান: ১০৩)

يآيُّهَا الَّذِيْنَ امَنُوْا اَطِيْعُوْا اللهَ وَاَطِيْعُوْا الرَّسُوْلَ وَاُوْلِىْ الاَمْرِ مِنْكُمْ ـ (نساء : 59)
উচ্চারণ: : ইয়াআউয়ুহাল্লাযীনা আমানূ আতিউ’ল্লাহা ওয়া আতিউস রাসূলা ওয়া উলিল আমরি মিনকুম।
(২) হে মুমিনগণ! আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রাসূলের (সা) আনুগত্য কর এবং তোমাদের দায়িত্বশীলদের আনুগত্য কর। (সূরা নিসা: ৫৯)

اِنَّ اللهَ يُحِبُّ الَّذِيْنَ يُقَاتِلُوْنَ فِىْ سَبِيْلِه صَفًا كَانَّهُمْ بُنْيَانٌ مَّرْصًُوْصِ ـ (الصف : 4)
উচ্চারণ: : ইন্নাল্লাহা উহিব্বুল্লাযীনা ইউকাতিলূনা ফী সাবীলিহী ছাফফান কাআন্নাহুম বুনইয়ানুম মারছুছ।
(৩) যারা আল্লাহর পথে সংগ্রাম করে সারিবদ্ধভাবে সুদৃঢ় প্রাচীরের মত আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন। (সূরা আস সাফ: ৪)
আরো দেখুন: সূরা ইমরান: ১০৪, ১১০, সূরা মায়েদাহ :২, সূরা বাকারা : ১৪৩, সূরা আসসাফ: ১৪।

হাদীস
1. عَنِ الْحَارِثِ الاْشْعَرْيْ (رض) قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ (صلعم) اَنَا لَمُرْكُمْ بِخَمْشْ اَللهُ اَمَرَنِىْ بِهِنَّ بِالْجَمَاعَةِ وَالْسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ وَالْهِجْرَةِ وَالْجِهَادِ فِىْ سَبَيْلِ اللهِ وَاِنَّهُ مَنْ خَرَجَ مِنَ الْجَمَاعَةِ قِيْدَ خَلَعَ رِبْقَةَ الاْسلاَمِ مِنْ عُنُقِه اِلاَّ اِنْ يُّرْاجَعَ وَمَنْ دَعَا بِدَعُوْي الْجَاهِلِيَّةِ فَهُوَ مِنْ جُئي جَهَنَّمَ وَاِنْ صَامَ وَصَلَّى وَزَعَمَ مُسْلِمٌ ـ
(১) হারেস আল-আশআরী (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা) বলেছেন, আমি তোমাদেরকে পাঁচটি কাজের নির্দেশ দিচ্ছি, আল্লাহ আমাকে এগুলোর নির্দেশ দিয়েছেন। ১। জামায়াত বা দলবদ্ধ হবে। ২। নেতার আদেশ মন দিয়ে শুনবে। ৩। তার আদেশ মেনে চলবে। ৪। হিজরত করবে অথবা আল্লাহর অপছন্দনীয় কাজ বর্জন করবে এবং ৫। আল্লাহর পথে জেহাদ করবে। যে ব্যক্তি জামায়াত বা সংগঠন ত্যাগ করে এক বিঘত পরিমাণ দূরে সরে গেলো, সে যেন নিজের কাঁধ থেকে ইসলামের রশি বা বাঁধন খুলে ফেলবো, যতক্ষণ না সে সংগঠনে ফিরে আসবে। আর যে ব্যক্তি জাহেলিয়াতের নিয়ম-নীতির দিকে লোকদেরকে আহ্বান জানাবে সে জাহান্নামের জ্বালানী হবে, যদিও সে রোযা রাখে, নামায পড়ে এবং নিজেকে মুসলমান বলে দাবি করে। (আহমাদ, তিরমিযী)

وَعَنْ اَنَسِ (رض) قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ (صلعم) مَنْ فَرْقُ الْجَمَاعَةِ شِبَرًا فَقَدْ خَلَعَ رِبْقَةَ الاَسْلاَمِ مِنْ عُنُقِه ـ (احمد ـ ابوداود)
(২) হযরত আনাস (রা) বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেছেন, যে ব্যক্তি জামায়াত ত্যাগ করে এক বিঘত পরিমাণ দূরে সরে গেল, সে যেন ইসলামের রুজ্জু হতে তার গর্দানকে আলাদা করে নিল। (আহমদ ও আবু দাউদ)

عَنْ اِبِىْ سَعِيْدِنِ الْخُدْرِيْ (رض) اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ (صلعم) قَالَ اِذَا كَانَ ثَلثَةً فِيْ سَفَرٍ فَلْيُؤُمِّرُوْا اَحَدَهُمْ ـ (ابوداود)
(৩) হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা) বলেছেন, সফরে এক সঙ্গে তিনজন থাকলে তাদের মধ্যে একজনকে তারা যেন অবশ্যই আমীর বানিয়ে নেয়। (আবু দাউদ)

عَنْ اِبْىْ هُرَيْرَةَ (رض) قَالَ سَمِعْتُ رسُوْلَ اللهِ (ص) يُقُوْلُ مَنْ خَرَجَ مِنْ الْطَّاعَةِ وَفَارَقَ الْجَمَاعَةَ فَمَاتَ مَاتَ مَيْتَهُ جَاهِلِيًةُ ـ (مسلم)
(৪) হযরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল (সা) কে এ কথা বলতে শুনেছি যে ব্যক্তি আমীরের আনুগত্যকে অস্বীকার করত: জামায়াত পরিত্যাগ করল এবং সেই অবস্থায়-ই মারা গেল, সে জাহেলিয়াতী মৃত্যুবরণ করল।

عَنْ عُمَرَ بْنْ الْخَطًابِ (رض) قَالَ لاَ اِسْلاََمَ اِلاَّ بِجَمَاعَةِ وَلاَ جَمَاعَةَ اِلاَّ بِامَارَةَ اِلاَّ بِطَاعَةُ ـ
(৫) হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রা) এর বানী- তিনি বলেন, জামায়াত ব্যতীত ইসলাম হয় না, নেতৃত্ব ব্যতীত জামায়াত হয় না এবং আনুগত্য ব্যতীত নেতৃত্ব হয় না।



 তৃতীয় দফা : প্রশিক্ষণ

কুরআন

اِقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِيْ خَلَقَ ـ خَلَقَ الاِنْسَانَ مِنْ عَلَقٍ ـ اِقْرَأَ وَرَبُّكَ الاَكْرَمُ الَّذِيْ عَلَّمَ بِالْقَلَمِ ـ عَلًَّمَ الاِنْسَانَ مَالَمْ يَعْلَمْ ـ
উচ্চারণ: : ইকরা বিসমি রাব্বিকাল্লাযী খলাক। খলাকাল ইনসানা মিন আলাক। ইকরা ওয়া রাব্বুকাল আকরামুল্লাযী আল্লামা বিলকালাম। আল্লামাল ইনসানা মালাম ইয়া’লাম।
(১) পড়ুন! আপনার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট বাঁধা রক্তপিন্ড থেকে। পাঠ করুন, আপনার প্রতিপালক মহামান্বিত, যিনি কলমের সাহায্য শিক্ষা দিয়েছেন, শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানতো না। (সূরা আলাক: ১-৫)

كَمَا اَرْسَلْنَا فِيْكُمْ رَسُوْلاً مِّنْكُمْ يَتْلُوْا عَلَيْكُمْ ايتِنَا وَيُزَكِّيْكُمْ وَيُعَلِّمُكُمْ الْكِتبَ وَالْحِكْمَةَ وُيُعَلِّمُكُمْ مَّالَمْ تَكُوْنُوْا تَعْلَمُوْنَ ـ
উচ্চারণ: : কামা আরসালনা ফীকুম রাসূলাম মিনকুম ইয়াতুল আলাইকুম আইয়াতিনা ওয়া ইউযাককীকুম ওয়া ইউআল্লামুকুমুল কিতাবা ওযাল হিকমাতা ওয়া ইউআল্লাহিমুকুম মা লাম তাকুন তা’লামূন।
(২) (হে আহলে কিতাব!) যেমন আমি তোমাদের মধ্যে থেকে তোমাদের জন্য একজন রাসূল পাঠিয়েছি, যিনি তোমাদের কাছে আমার বাণীসমূহ পাঠ করবেন এবং তোমাদের পবিত্র করবেন, তোমাদের শিক্ষা দিবেন কিতাব ও হিকমাত, আর এমন বিষয় শিক্ষা দেবেন যা তোমরা জানতে না। (সূরা বাকারা: ১৫১)

وَلكِنْ كُوْنُوْا رَبَّنِيْنَ بِمَا كُنْتُمْ تُعَلِّمُوْنَ الْكِتبَ وَبِمَا كُنْتُمْ تَدْرَسُوْنَ ـ (ال عمران : 79)
উচ্চারণ: : ওয়া লাকিন কুনূ রাব্বানীনা বিমা কুনতুম তুআল্লিমূনাল কিতাবা ওয়া বিমা কুনতুম তাদরুসুন।
(৩) (নবী) তিনি তো ইহাই বলবেন যে, তোমরা আল্লাহওয়ালা হয়ে যাও এ জন্য যে, তোমরা কিতাব নিজেরা শিখ ও অন্যদেরকে শিক্ষা দাও। (সূরা আলে-ইমরান: ৭৯)

قُلْ هَلْ يَسْتَوْيْ الاَعْمي وَالْبَصِيْرَ اَمْ هَلْ تَسْتَوِيْ الظُّلُمتُ وَالنُّوْرِ ـ (الرعد : 16)
উচ্চারণ: : কুল হাল ইয়াসতাবিল আ’মা ওয়াল বাছীরু আম, হাল তাসতাবিযু যুলুমাতু ওয়ানুর।
(৪) বলুন হে নবী! অন্ধ ও চক্ষুষ্মান লোক কি কখনো এক হতে পারে? আলো ও অন্ধকার কি কখনো এক ও অভিন্ন হয়? (সূরা আর-রাদ: ১৬)

يَرْفَعُ اللهُ الَّذِيْنَ امَنُوْا مِنْكُمْ وَالَّذِيْنَ اُوْتُوْا الْعِلْمَ دَرَجَتٍ وَّ اللهُ بِمَا تَعْلُوْنَ خَبِيْرٌ ـ (المجادلة : 11)
উচ্চারণ: : ইয়ারফাউ’ল্লাযীনা আমানূমিনকুম ওয়াল্লযীনা উতূল ই’লমা দারাজাতিন ওয়াল্লাহু বিমা তা’মালূন।
(৫) তোমাদের মধ্যে যার ঈমানদার এবং যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে আল্লাহ তাদেরকে সুউচ্চ মর্যাদা দান করবেন। আর যা কিছু তোমরা কর, আল্লাহ সে বিষয়ে পূর্ণ অবহিত। (সূরা আল মুজাদালা :১১)

قالَ لَهُ مُوْسى هَلْ اَتَّبِعُكَ عَلى اَنْ تُعَلِّمَنِ مِمَّا عُلِمْتَ رُشْدًا ـ (كهف : 66)
উচ্চারণ: : কালা লাহু মূসা হাল আত্তাবিউকা আ’লা তুআ’ল্লিমানি মিম্মা উ’ল্লিমতা রুশদা।
(৬) মুসা (আ) তাকে বলল, আমি কি এ শর্তে আপনার অনুসরণ করতে পারি যে, সত্য পথের যে জ্ঞান আপনাকে শেখানো হয়েছে, তা থেকে আমাকে কিছু শিক্ষা দেবেন? (সূরা আরাফ : ৬৬)
আরো দেখুন : সূরা ইমরান : ৪৮, ১১৪, সূরা জাসিয়া : ৬, সূরা আদ-দুখান : ৫৮, সূরা মুমিনূন : ২, সূরা আলাক : ১-৫।

হাদীস
وَعَنْ اَنَسٍ (رض) قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ (صلعم) مَنْ خَرَجَ فِىْ طَلَبَ فِىْ الْعِلْمِ كَانَ فِىْ سَبِيْلِ اللهِ حَتَّي يَرْجِعَ ـ
(১) হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা) বলেছেন, যে ব্যক্তি ইলম হাসিল করার উদ্দেশ্য বের হয় সে ফিরে না আসা পর্যন্ত আল্লাহর পথে (জিহাদের মধ্যে) অবস্থান করে। (তিরমিযী)

وَعَنْ اِبْنِ عَبَّاسٍ قَالَ تَدَارَسُ الْعِلْمِ سَاعَمً مِّنَ اللّْلِ خَيْرٌ مِّنْ اَحْيَائِهَا ـ
(২) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাতের বেলা এক ঘন্টা ইলমের দারস বা আলোচনা করা পুরো রাত জেগে ইবাদাত করা হতে উত্তম। (দারেমী)

وّعَنْ عَبْدِ اللهِ بِنْ عُمْرِوٍ (رض) قَالَ رَسُوْلُ اللهُ (صلعم) اِنَّ مِنْ خِيَارِكُمْ اَحْسَنَكُمْ اَخْلاَقًا ـ (بخاري ـ مسلم)
(৩) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি-ই সবচেয়ে উত্তম যে চরিত্রের দিক দিয়ে উত্তম। (বুখারী, মুসলিম)

عَنْ اَبْىْ هُرَيْرَةَ (رض) قَالَ قَالَ وَرَسُوْلُ اللهِ (صعلم) تَعَلَّمُوْا الْفَرَائِضَ وَالْقُرْانَ وَعَلِّمُوْا النَّاسَ فَانِّيْ مَقْ
(৪) আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা) বলেছেন, তোমরা ফারায়েয ও কুরআন শিক্ষা এবং মানুষকে তাহা শিক্ষা দাও। কেননা আমাকে অতিসত্বরই উঠিয়ে নেয়া হবে। (তিরমিযী)

وَعَنْ اَنَسٍ (رض) قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ (صلعم) طَلَبُ الْعِلْمِ فَرْيْضَةُ عَلى كُلِّ مُسْلِمٍ ـ (ابن ماجة)
(৫) হযরত আনাস (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইলম সন্ধান করা প্রত্যেক মুমিনের উপর ফরয তা অবশ্য কর্তব্য। (ইবনে মাজাহ)

وَعَنْ اَبِىْ هُرَيْرَةَ (رض) قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ (صلعم) مَنْ سُئْلَ عَنْ عِلْمِ فَكَتَمَهُ الْجِمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِلِجَامٍ مَنْ نََّارِ ـ (ترمذى : ابوداود)
(৬) হযরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা) বলেছেন, যে ব্যক্তিকে দ্বীনের কোন ইলম সম্পর্ক জিজ্ঞেস করা হয় এবং তা সে গোপন রাখে তবে তাকে কিয়ামতের দিন আগুনের লাগাম পরানো হবে। (তিরমিযী, আবু দাউদ)



 ইসলামী শিক্ষা আন্দোলন ও ছাত্র সমস্যা

اِقْرَاْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِيْ خَلَقَ ـ خَلَقَ الاْنْسَانَ مِنْ عَلَقٍ ـ اِقْرَاْ وَرَبُّكَ الاِكْرَمُ الَّذْىْ عَلَّمَ بِالْقَلَمِ ـ عَلَّمَ الانْسَانَ مَالَمْ يَعْلَمْ ـ (علق: 1-5)
উচ্চারণ: : ইকরা বিসমি রাব্বিকাল্লাযী খলাক। খলাকাল ইনসানা মিন আলাক। ইকরা ওয়া রাব্বুকাল আকরামুল্লাযী আ’ল্লামা বিলকালাম। আল্লামাল ইনসানা মা লাম ই’লাম।
(১) পড়, (হে নবী!) তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। জমাট বাঁধা রক্তের এক পিণ্ড হতে মানুষকে সৃষ্টি করছেন। পড়, আর তোমার রব বড়ই অনুগ্রহশীল। যিনি কলমের সাহায্যে জ্ঞান শিখিয়েছেন। মানুষকে এমন জ্ঞান দিয়েছেন যা সে জানত না। (সূরা আলাক : ১-৫)

اَلرَّحْمنُ عَلَّمَ الْقُوْانَ خَلَقَ الانْسَانَ ـ عَلَّمَهُ الْبَيَانَ ـ (الرحمن: 1-4)
উচ্চারণ: : আররহমান, আ’ল্লামাল কুরআন, খলাকাল ইনসান, আ’ল্লামাহুল বায়ান।
(২) পরম করুণাময় আল্লাহ এ কুরআনের শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন। এবং তাকে কথা বলা শিক্ষা দিয়েছেন। (সূরা আর রহমান : ১-৪)

يآيُّهَا الْمُدَّثِّرُ ـ قُمْ فَانْذِرْ ـ وَرَبَّكَ فَكَبِّرْ ـ (مدثر : 1-3)
উচ্চারণ: : ইয়া আইয়ুহাল মুদ্দাচ্ছির, কুম ফাআনযির,ওয়া রাব্বাকা কাব্বির।
(৩) হে কম্বল আবৃতকার, উঠ, সাবধান কর, তোমার রবের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর। (সূরা মুদ্দাসসির : ১-৩)

يْرْفَعِ اللهُ الَّذِيْنَ امَنُوْا مِنْكُمْ ـ وَالَّذِيْنَ أُوْتُوْا الْعِلْمَ دَرَجتِ وَاللهُ بِمَا تَعْمَلَوْنَ 0خَبِيْرٌ ـ (مجادلة: 11)
উচ্চারণ: : ইয়ারফাউ’ল্লাহুল্লযীনা আমানূ মিনকুম, ওয়াল্লাযীনা উতুল ইলমা দারাজাতি, ওয়াল্লাহু বিমা তা’মালূনা খবীর।
(৪) তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে আল্লাহ তাদেরকে উচ্চ মর্যাদা দেবেন। আর যা কিছু তোমরা কর, আল্লাহ সে বিষয় পূর্ণ অবহিত। (সূরা আল মুজাদালা : ১১)
আরো দেখুন : সূরা ছোয়াদ : ২৯, সূরা নাহল : ৮৯, সূরা তওবা : ১২২, সূরা বাকারা : ১৫১, হজ্জ : ৭৭।

হাদীস
عَنْ اِبْنِ عَبَّاسٍ (رض) قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ (صلعم) فِقِيْهٌ وَاحِدٌ اَشَدُّ عَلَى الشَّيْطَانِ مِنْ اَلْفِ عَابِدٍ ـ (ترمذى ـ ابن ماجاة)
(১) ইবনে আব্বাস (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, একজন ফকীহ অর্থ্যাৎ দ্বীনের গভীর বুৎপত্তিশালী ব্যক্তি শয়তানের পক্ষে এক হাজার আবেদের তুলনায় বেশী ক্ষমতাবান। (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ)

عَنْ اَنَسَ (رض) قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهُ (صعلم) مَنْ خَرَجَ فِىْ طَلَبِ الْعِلْمِ فَهُوَ فِىْ سَبِيْلَ اللهِ حَتى يَرْجَعَ ـ (دارمي)
(২) হযরত আনাস (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, যে ব্যক্তি অন্বেষণে বের হয়, সে প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত আল্লাহর পথেই থাকে। (তিরমিযী)

عَنْ اَبِيْ هُرَيْرَةَ (رض) قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ (صلعم) خَصْلَتَانِ لاَ تَجْمَعَانِ فِىْ مُنَافِقٍ حُسْنٌ سَمِعْتٍ وَلاَفِقْهٌ فِىْ الدِيْنَ ـ (ترمذي)
(৩) হযরত আনাস (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, মুনাফিক ব্যক্তির মধ্যে দুটি চরিত্রের সমাবেশ ঘটতে পারে না। উহার একটি হচ্ছে উত্তম চরিত্র ও নৈতিকতা এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে দ্বীনের সুষ্ঠ জ্ঞান উপলব্ধি। (তিরমিযী)




 ইসলামী বিপ্লব/জিহাদ

কুরআন

اِنَّ اللهَ اَشْتَري مِنَ الْمُؤْمِنِيْنَ اَنْفُسَهُمْ وَاَمْوَلَهُمْ بِاَنَّ لَهُمُ الْجَنَّةَ يُقَاتِلُوْنَ فِىْ سَبِيْلِ اللهِ فَيْقْتُلُوْنَ وَيُقْتِلُوْنَ ـ (توبة : 111)
উচ্চারণ: : ইন্নাল্লাহাশতারা মিনালমুমি’নীনা আনফুসাহুম ওয়া আমওয়ালাহুম বিআন্না লাহুমুল জান্নাতা ইউকাতিলূনা ফী সাবীলিল্লাহি ফাইয়াকতুলূনা ওয়া উকতালূন।
(১) প্রকৃত কথা এই যে, মহান আল্লাহ তাআলা মুমিনের জান মাল জান্নাতের বিনিময়ে খরীদ করে দিয়েছেন, এখন তাদের কাজ হবে, তারা আল্লাহর পথে সংগ্রাম করবে, সে সংগ্রামে তারা যেমন মারবে, তেমন মরবেও। (সূরা তওবা : ১১১)

وَقَاتِلُوْهُمْ حَتَّي لاَتَكُمْنَ فِتْنَةٌ وَّيَكُوْنَ الدِيْنُ كُلُّه’ لِلهِ ـ فِانِ اِنْتَهُوْا فِانَّ اللهَ بِمَا يَعْلَمُوْنَ بَصِيْرٌ ـ (انفال :39)
উচ্চারণ: : ওয়া কাতিলূহুম হাত্তা লা ইয়াকূনা ফিতনাতুনও ওয়া ইয়াকূনাদ দীনু লিল্লাহি, ফাইনিনতাহাও ফাইন্নাল্লাহা বিমা ইয়া’লামূনা বাছীর।
(২) হে ঈমানদার লোকেরা কাফেরদের সাথে লড়াই কর, যেন শেষ পর্যন্ত ফেতনা খতম হয়ে যায় এবং দ্বীন পুরোপুরিভাবে আল্লাহরই জন্য হয়ে যায়। পরে তারা যদি কোন ফেতনা হতে বিরত থাকে তবে তাদের আমল আল্লাহ দেখবেন। (সূরা আনফাল: ৩৯)

اِنْفِرُوْا خِفَافًا وَّثِقَالاً وَّجَاهِدُوْا بِاَمْوَا الِكُمْ وَاَنْفُسِكُمْ فِىْ سَبِيْلِ اللهِ ذلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ اِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ ـ (توبة: 41)
উচ্চারণ: : ইনফিরূ খিফাফাও ছিকালাও ওয়া জাহিদূ বিআমওয়ালিকুম ওয়া আনফুসিকুম ফী সাবীলিল্লাহি, যালিকুম খাইরুল লাকুম ইন কুনতুম তা’লামূন।
(৩) তোমরা বের হয়ে পড় হালকা কিংবা ভারী সরঞ্জামের সাথে, আর জিহাদ কর আল্লাহর পথে নিজেদের মাল-সামান ও নিজেরর জান-প্রাণ দিয়ে। এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর যদি তোমরা বুঝ। (সূরা তওবা : ৪১
আরো দেখুন: সুরা বাকারা : ২১৮, ১৯৩, সূরা ছফ : ১১, সূরা আলে ইমরান : ১৪২।

হাদীস
عَنْ اِبِىْ هُرَيْرَةَ (رض) قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ (صلعم) مَنْ مَاتَ وَلَمْ يَغْزُوْا وَلَمْ يَحْدُثْ بِه نَفْسِه’ مَاتَ عَلى شُعْبَةٍ مِّنَ النِّفَاقِ ـ (مسلم)
(১) হযরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্নিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা) বলেছেন, যে বেক্তি মৃত্যুবরণ করল অথচ না সে জিহাদ করেছে, আর না তার মনে জিহাদের জন্য কোন চিন্তা, সংকল্প ও ইচ্ছার উদ্রেক হয়েছে, তবে সে ব্যক্তি মুনাফিকদের ন্যায় মৃত্যুবরণ করল। (মুসলিম)

عَنْ اَبِيْ ذَرَ (رض) قَالَ قُلْتُ يَا رَسُوْلُ (صلعم) اَيُّ الْعَمَلَ اَفْضَلُ قَالَ اَلاْيْمَانُ بِاللهِ وَالْجِهَاد ُ فِىْ سَبِيْلِه ـ (بخاري ـ مسلم)
(২) হযরত আবু যর (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললাম হে রাসূল (সা) কোন কাজ উত্তম ও উৎকৃষ্ট তা আমাকে বলে দিন। উত্তরে রাসূল (রা) বললেন, আল্লাহর প্রতি ঈমান এবং তার পথে জিহাদ করা। (বুখারী, মুসলিম)

عَنْ اَنَسٍ (رض) اَنَ النَّبِيّ (صلعم) قَالَ جَاهِدُوْا الْمُشْرِكِيْنَ بِاَمْوَالِكُمْ وَاَنْفُسَكُمْ وَاَلْسِنَتِكُمْ ـ (ابوداود)
(৩) হযরত আনাস (রা) হতে বর্নিত, নবী করীম (সা) বলেছেন, তোমরা তোমাদের জান, মাল ও মুখ দিয়ে মুশরিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করো। (আবু দাউদ)

عَنْ اَنَسِ بْنِ مَالِكِ (رض) عَنٍ النَّبِىِّ (صلعم) قَالَ لَغَدَوْةَ فِىْ سَبِيْلِ اللهِ اَوْرَوْحَةُ خِيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيْهَا ـ (بخاري)
(৪) হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা) হতে বর্ণিত রাসূল (সা) বলেছেন, আল্লাহর পথে একটা সকাল ও একটা বিকেল ব্যয় করা দুনিয়া ও এর এর সমস্ত সম্পদ থেকে উত্তম। (বুখারী)

Comments

  1. আয়াত গুলো আরো একটু নির্ভুল ভাবে লিখার চেষ্টা করবেন

    ReplyDelete
  2. যবর যের পেশ দিয়ে লিখলে আরো ভালো হত।

    ReplyDelete
  3. হাদিসের রেফারেন্স নম্বর সহদিলে ভাল হত

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

আল-আইয়্যামে ড. ত্বহা হুসায়নের শৈশব জীবন চিত্র

আল-আইয়্যামে ড. ত্বহা হুসায়নের শৈশব জীবন   চিত্র আরবী সাহিত্য জগতে উনিশ শতকের শেষার্ধে মিশরে ডঃ ত্বহা হুসায়নের আবির্ভাব ঘটে ; সে সময় অনুকরণের উষ্ণ হাওয়া বইছিল। নানা প্রকার কুসংস্কারে নিপতিত , বৈদেশিক শাসনের যাতাকলে নিষ্পেষিত , ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য ও বাক স্বাধীনতা , রাজনৈতিক অধিকার , অর্থনৈতিক মূল্যবোধ , মানবিক অধিকার ও সামাজিক মর্যাদা থেকে জাতি বঞ্চিত অবহেলিত , ঠিক তখন এ লাঞ্ছিত , উৎপীড়িত দিশেহারা জাতিকে পথ নির্দেশনার জন্যই ছিল তাঁর সাহিত্যকর্ম । তাঁর ক্ষুরধার লিখনীতে তন্দ্রাচ্ছন্ন জাতির সুপ্তপ্রাণে বিপ্লবের জোয়ার এসেছিল। তিনি ছিলেন একাধারে শিক্ষাবিদ , সংস্কারক , গবেষক , ঐতিহাসিক , বিজ্ঞানধর্মী সমালোচক , প্রভাবশালী বাগ্নী , সর্বোপরি আধুনিক মিশর ও আধুনিক আরবী সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা।১ The New Encyclopaedia Britannica তে বলা হয়েছে “Taha Hussain, was an outstanding Figure of the Modernist movement in Egyptian literature.” 2  ডঃ ত্বহা হুসায়ন রচিত অসংখ্য গ্রন্থাবলীর মধ্যে আল- আইয়্যাম বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। এটি তিন খন্ডে সমাপ্ত। যার মধ্যে তিনি নিজ জীবনীর বিভিন্ন দিক তু

মনে রাখার সহজ কৌশলে Exclusive টেকনিকে আর্ন্তজাতিক বিষয়াবলী সাধারন জ্ঞান। আশা করি মনোযোগ দিয়ে একবার পড়লেই মনে থাকবে।

মনে রাখার সহজ কৌশলে Exclusive টেকনিকে আর্ন্তজাতিক বিষয়াবলী সাধারন জ্ঞান। আশা করি মনোযোগ দিয়ে একবার পড়লেই মনে থাকবে। SAARC এর সদস্যঃ Exclusive টেকনিকঃ NIPA MBBS পড়তে আগ্রহী। NIPA = নেপাল, ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, আফগানিস্থান। MBBS= মালদীপ, বাংলাদেশ, ভুটান, শ্রীলংকা। ECO – ভুক্ত শর্টকাট মনে রাখার নিয়মঃ Exclusive টেকনিকঃ আইতু + ৭ স্তান। =আজারবাইজান, ইরান, তুরস্ক, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, কাজাখস্তান, কিনঘিজিস্তান, তুর্কিমেনিস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান। D-8 ভুক্ত শর্টকাট মনে রাখার নিয়মঃ Exclusive টেকনিকঃ বাপ মা নাই তুমিই সব। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মালয়শিয়া, নাইজেরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, মিসর, ইরান। ASEAN এর সদস্যঃ Exclusive টেকনিকঃ MTV তে FILM দেখলে BCS হবে না। Mayanmar, Thailand, Vietnam, Phillipines, Indonesia, Laos, Malaysia, Brunei, Cambodia, Singapore. Super Seven এর সদস্যঃ Exclusive টেকনিকঃ থামাই+ সিতাদহ থাইল্যান্ড, মালয়শিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিংগাপুর, তাইওয়ান, দঃ কোরিয়া, হংকং। থাইল্যান্ড, মালয়শিয়া, ইন্দোনেশিয়া + FOUR TIGERS. Scandinavian States এর সদস্যঃ Exclusive টেকন