Skip to main content

Posts

Showing posts from 2013

নাস্তিকদের ছোবলে দেশের যুবসমাজ : মুহাম্মদ মনজুর হোসেন খান

গণ-জাগরণ মঞ্চে ইমামের পোশাক পরে ব্যাঙ্গাত্মক অভিনয় করছে শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমানের এই দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমের জীবনাচারকে বিশুদ্ধ ঈমান-আকিদার প্রশ্নে কোনোভাবেই সন্তোষজনক বলা না গেলেও এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, ধর্ম এখানকার জনজীবনে একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। ধর্মপালনে শিথিলতা থাকলেও মানুষের মধ্যে ধর্মানুভূতি যথেষ্ট তীব্র। ফলে দীর্ঘদিন ধরে এ দেশের সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থায় সুকৌশলে ধর্মহীনতা প্রসারের ব্যাপক চেষ্টা পরিলক্ষিত হলেও প্রকাশ্যভাবে ধর্মদ্রোহিতা বা নাস্তিকতার কোনো স্থান কখনোই হয়নি। তাই যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন, জনগণকে পক্ষে টানার জন্য অন্তত ভোটের সময় হলেও ধর্মের গুণগান করতে দেখা যায়। যে কারণে দাউদ হায়দার, আহমাদ শরীফ, তাসলিমা নাসরীন, হুমায়ুন আজাদের মতো গুটিকয় ধর্মবিদ্বেষী নাস্তিক যারা সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিল, বাংলাদেশের গণমানুষের হৃদয়ের গভীরে তাদের তো কোনো আশ্রয় হয়ইনি; বরং তাদের বিরুদ্ধে পুঞ্জীভূত হয়েছে প্রবল ক্ষোভ ও ঘৃণাবোধ। এমনকি তাদের অনেককেই শেষ পর্যন্ত দেশ ছাড়তে বাধ্য হতে হয়েছে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে ইন্টারনেটের প্রস

সফল জীবনের জন্য

মস্তিষ্কজাত অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে ব্যক্তিগত সফলতার সাথে সাথে মানবজাতিকে উপকৃত করাই ক্যারিয়ার ভাবনার মূল উদ্দেশ্য। ক্যারিয়ার শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের সাথে সম্পর্কিত বিষয়। যেখানে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কিংবা প্রশিক্ষণ নেই, ক্যারিয়ার সেখানে অনুপস্থিত। এ কারণে অশিক্ষিত একজন কৃষক এবং শিক্ষিত একজন কৃষিবিদ যখন কৃষিকে জীবিকা অর্জনের ক্ষেত্র হিসেবে অবলম্বন করেন, তখন কৃষকের জন্য ‘কৃষি’ পেশা হলেও কৃষিবিদের জন্য তা ‘ক্যারিয়ার’। তাছাড়া, ক্যারিয়ার অর্থ শুধু পেশা নয়, পেশার অতিরিক্ত ব্যক্তির সহজাত গুণাবলি, জীবনের লক্ষ্য, উচ্চাকাক্সক্ষা, লালিত বিশ্বাস ও আদর্শ, সন্তুষ্টি, মানবিক দায়িত্ব, অর্থ প্রাপ্তি ইত্যাদি বিষয়গুলো ক্যারিয়ারে ওতপ্রোতভাবে অন্তর্ভুক্ত। বর্তমানে পেশাদিরিত্বের (Professionalism) সাথে বৈশ্বিক চেতনা (Globalization) সংযুক্ত হওয়ায় ক্যারিয়ার ভাবনায় আসছে নানামাত্রিক পরিবর্তন। ক্যারিয়ার অর্থ Career-এর আভিধানিক অর্থ জীবনের পথে অগ্রগতি, জীবনায়ন, বিকাশক্রম, জীবিকা অর্জনের উপায় বা বৃত্তি ইত্যাদি। Cambridge International Dictionary of English-এ ক্যারিয়ারের যে সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে তা

২৮ অক্টোবর চির অমলিন স্মৃতিজাগানিয়া হৃৎকম্পন

২৮ অক্টোবর ২০০৬ বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম কালো দিবস। দিনটি জাতির জীবনে এক রক্তভেজা ইতিহাসের জন্ম দেয়। এই ইতিহাস এতই বেদনার যে তা কখনো ভুলবার নয়, মুছবারও নয়; বরং চির অমলিন এক স্মৃতিজাগানিয়া হৃৎকম্পন! বিশ্বের ইতিহাসে মানুষ হত্যার ঘটনা ঘটেছে বেশ কয়েকটি। হিটলার, মুসোলিনী ও স্টালিনরা হত্যা করেছিল লক্ষ লক্ষ মানুষ। এসব নৃশংস হত্যার পরিসংখ্যান হয়তো পাওয়া যাবে না। কিন্তু ২৮ অক্টোবর ঢাকার পল্টন ময়দানের ঘটনা প্রত্যক্ষ করলে নিঃসন্দেহে হিটলাররা লজ্জিত হতো। কারণ তারা মানুষ হত্যার পর লাশের ওপর উঠে “নৃত্যোল্যাস” করার মতো পাশবিকতা প্রদর্শন করেননি। অথচ ২৮ অক্টোবর ২০০৬ বাংলাদেশে কী ঘটেছিল তা দেশীয় মিডিয়ার মাধ্যমে দেশের প্রতিটি মানুষ যেমন প্রত্যক্ষ করেছিল তেমনি আন্তর্জাতিক মিডিয়ার কল্যাণে সমগ্র বিশ্বও তা অবলোকন করেছিল। সেদিন স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল পৃথিবীর মানুষ। আর নিদারুণভাবে কলঙ্কিত হয়েছিল মানবতা। শুধুমাত্র রাজনৈতিক মত পার্থক্যকে কেন্দ্র করে এমন পাশবিক কায়দায় মানুষ হত্যার দৃশ্য এর আগে কখনো কোথাও দেখা যায়নি। বছর ঘুরে বার বারই দিনটি ফিরে ফিরে আসে। আর আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় জাতীয় ঐক্য ও সংহত

৮ই ফেব্রুয়ারি,নির্মমতার প্রতিচ্ছবি

৮ই ফেব্রুয়ারি,নির্মমতার প্রতিচ্ছবি মু.রাজিফুল হাসান বাপ্পি সবুজ-শ্যামল, পাহাড় ঘেরা আর শতজাত পাখিদের কলকাকলিতে মুখরিত প্রকৃতির অনিন্দ্য সৌন্দর্যের এক লীলাভূমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আবহমান বাংলার সকল অতীত ঐতিহ্যকে ধারণ করেই পরিচালিত হয়ে আসছে এই প্রতিষ্ঠানটি। শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক চর্চার পাশাপাশি বিভিন্ন মতাদর্শের রাজনীতি চর্চাও এখানে স্থান পেয়েছে বেশ গুরুত্বের সাথে। স ্বাধীনতার পর থেকেই মুক্ত চর্চার এই বিদ্যাপীঠে নতুন আঙ্গিকে পদযাত্রা শুরু করে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন। আদর্শিক মানদন্ডে উৎরাতে না পেরে স্তিমিত হয়েছে অনেকেই। তবে ক্ষমতার মোহে আদর্শকে বিলীন করে ব্যাক্তিগত স্বার্থোদ্ধার আর শোষণ-নিপীড়নের প্রয়াসে আজো তৎপর অনেক সংগঠন। এদিকে ইসলামী ছাত্রশিবির নিজেদেরকে আদর্শের মানদন্ডে যোগ্য প্রমাণ করে এই ক্যাম্পাসের প্রতিটি পত্রপল্লবের সবুজের সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে। সেই আশির দশক হতে ইসলামী ছাত্রশিবির তাদের বিন¤্র আচরণ, মোয়ামেলাত আর ইসলামী জীবনাদর্শকে ব্যক্তি জীবনে ধারনের মাধ্যমে ইসলামের সুমহান বাণী প্রচার করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ছাত্র,

সাইয়েদ কুতুব শহীদের জীবনী

ইসলামী আন্দোলনের অন্যতম প্রাণপুরুষ সাইয়েদ কুতুব শহীদ জন্ম ও শিক্ষাজীবন সাইয়েদ কুতুবের মূল নাম হলো সাইয়েদ ; কুতুব তার বংশীয় উপাধি। তার পূর্বপুরুষরা আরব উপদ্বীপ থেকে এসে মিসরের উত্তরাঞ্চলে বসবাস শুরু করেন। তার পিতার নাম হাজী ইবরাহীম কুতুব। তিনি চাষাবাদ করতেন। তার মাতার নাম ফাতিমা হোসাইন উসমান , যিনি অত্যন্ত ধার্মিক মহিলা ছিলেন। তারা মোট দুই ভাই এবং তিন বোন ছিলেন। ভাইরা হলেন সাইয়েদ কুতুব এবং মুহাম্মাদ কুতুব। আর বোনেরা হলেন হামিদা কুতুব এবং আমিনা কুতুব। পঞ্চম বোনের নাম জানা যায়নি। সাইয়েদ কুতুব ছিলেন সবার বড়। তারা সব ভাই-বোনই উচ্চশিক্ষা লাভ করেন এবং ইসলামী আন্দোলনের জন্য প্রভূত ত্যাগ স্বীকার করেন। সাইয়েদ কুতুব ১৯০৬ সালে মিসরের উসইউত জিলার মুশা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার আম্মা ফাতিমা হোসাইন উসমান অত্যন্ত দ্বীনদার ও আল্লাহভীরু মহিলা ছিলেন। সাইয়েদের পিতা হাজী ইবরাহীম চাষাবাদ করতেন কিন্তু তিনিও ছিলেন অত্যন্ত ধর্মপরায়ণ ও চরিত্রবান। কর্মজীবন গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাইয়েদ কুতুবের শিক্ষা শুরু হয়। মায়ের ইচ্ছানুসারে তিনি শৈশবেই কোরআন হেফয করেন। পরবর্তীকালে তার পিতা কায়রো