Skip to main content

সফল জীবনের জন্য

মস্তিষ্কজাত অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে ব্যক্তিগত সফলতার সাথে সাথে মানবজাতিকে উপকৃত করাই ক্যারিয়ার ভাবনার মূল উদ্দেশ্য। ক্যারিয়ার শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের সাথে সম্পর্কিত বিষয়। যেখানে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কিংবা প্রশিক্ষণ নেই, ক্যারিয়ার সেখানে অনুপস্থিত। এ কারণে অশিক্ষিত একজন কৃষক এবং শিক্ষিত একজন কৃষিবিদ যখন কৃষিকে জীবিকা অর্জনের ক্ষেত্র হিসেবে অবলম্বন করেন, তখন কৃষকের জন্য ‘কৃষি’ পেশা হলেও কৃষিবিদের জন্য তা ‘ক্যারিয়ার’। তাছাড়া, ক্যারিয়ার অর্থ শুধু পেশা নয়, পেশার অতিরিক্ত ব্যক্তির সহজাত গুণাবলি, জীবনের লক্ষ্য, উচ্চাকাক্সক্ষা, লালিত বিশ্বাস ও আদর্শ, সন্তুষ্টি, মানবিক দায়িত্ব, অর্থ প্রাপ্তি ইত্যাদি বিষয়গুলো ক্যারিয়ারে ওতপ্রোতভাবে অন্তর্ভুক্ত। বর্তমানে পেশাদিরিত্বের (Professionalism) সাথে বৈশ্বিক চেতনা (Globalization) সংযুক্ত হওয়ায় ক্যারিয়ার ভাবনায় আসছে নানামাত্রিক পরিবর্তন।
ক্যারিয়ার অর্থ
Career-এর আভিধানিক অর্থ জীবনের পথে অগ্রগতি, জীবনায়ন, বিকাশক্রম, জীবিকা অর্জনের উপায় বা বৃত্তি ইত্যাদি। Cambridge International Dictionary of English-এ ক্যারিয়ারের যে সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে তা হলো- “শিক্ষা বা প্রশিক্ষণের ভিত্তিতে অর্জিত এমন এক কর্ম যেখানে ব্যক্তির সমগ্র কর্মজীবনে গুণগত এবং অভিজ্ঞতা সম্পর্কিত উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি আসে, দায়িত্বের ব্যাপকতা বৃদ্ধি পায় এবং জীবন যাপনে পর্যাপ্ত অর্থের নিশ্চয়তা থাকে।”
প্রয়োজন সুস্পষ্ট টার্গেট
তবে ক্যারিয়ার অর্জনে একটি সুস্পষ্ট ও সুউচ্চ টার্গেট মানুষের সাধনা ও গতিকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। মূলত এর অভাবেই আমরা নিজেকে একটি সুন্দর পর্যায়ে উন্নীত করতে পারি। যে সময় পারস্য সাম্রাজ্য ছিল বিশ্বব্যাপী এক অপরাজেয় শক্তি আর মুসলমানেরা ছিল হাতেগোনা সামান্য ক’জনার মিলিত শক্তি, ঠিক সেই সময়ই মুসলিম শক্তি কর্তৃক পারস্যের পদানত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন আল্লাহর রাসূল (সা)। এটি একদিকে যেমন কাফেরদের হাসাহাসির কারণ হয়েছিল অপরদিকে মুসলমানদেরকে দীপ্ত সাহসী ও পরিশ্রমী করেছিল। আর এভাবেই পরবর্তীতে পারস্য বিজয় সম্ভব হয়েছিল। এক কাঠুরিয়ার ছেলে সুদৃঢ় স্বপ্ন দেখেছিল সে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হবে। সাধনার বলে তিনিই হয়েছিলেন আব্রাহাম লিঙ্কন। সুতরাং ক্যারিয়ার অর্জন বা মৌলিক সাফল্যের জন্য একটি সুস্পষ্ট ও সুউচ্চ টার্গেট নির্ধারণ অত্যন্ত জরুরি।
তবে ইচ্ছা করলেই কি সবকিছু করা সম্ভব? আমি যা হতে চাই তা কি শুধুমাত্র ইচ্ছার জোরেই হওয়া যাবে? না, তবে ইচ্ছাটাই তো আগে। মনের মধ্যে ইচ্ছা না জাগলে সেদিকে অগ্রসর হওয়া কোনোক্রমেই সম্ভব নয়।
এখানে আমরা পেশা হিসেবে সঠিক বিষয়কে বাছাই করে নেয়ার ব্যাপারটিকেই তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে। প্রকৃতপক্ষে এক এক পেশার দাবি এক এক ধরনের গুণাবলির। কে কোন্ পেশায় যাওয়ার জন্য উপযোগী তা নির্ধারিত হয়ে থাকে বহুলাংশে তার সহজাত গুণাবলির উপরে। এই গুণাবলি এবং ব্যক্তিগত আগ্রহ ধরে হিসাব করতে হয় কে কোন্ পেশায় নিয়োজিত করবে নিজেকে। বর্তমান সময়ে জগৎটি বড় বেশি প্রতিযোগিতাপূর্ণ হয়ে পড়েছে। আর বাংলাদেশের অবস্থা তো আরো বেশি গুরুতর। জনসংখ্যার অনুপাতে আমাদের দেশে সুযোগ-সুবিধা নিতান্তই অপ্রতুল। এ অবস্থায় একটি সুন্দর পেশা অর্জন প্রকৃত অর্থেই সুকঠিন হয়ে পড়েছে। বর্তমান সময়ে এ দেশের যে কোনো যুবকের পার্থিব জীবনের প্রয়োজনে এই অর্জনটুকুর জন্যে ঘাম ঝরাতে হয় বহুদিন যাবৎ। হ্যাঁ, এর জন্য সঠিক পরিকল্পনা ও দৃঢ় পদক্ষেপের বিকল্প নেই।
সবার জীবনে একটি চূড়ান্ত টার্গেট থাকে। আর মুসলিম হিসেবে আমাদের টার্গেট তো অভিন্ন। দুনিয়া আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দেখানো পথে বিচরণ করে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, জাতি তথা সমগ্র বিশ্বের কল্যাণ সাধন করে পরকালে মহান প্রভুর সন্তুষ্টি অর্জনের মধ্য দিয়েই সে লক্ষ্যের পরিসমাপ্তি। কিন্তু সেটা একেবারে সহজ কাজ নয়। এজন্য জীবনের প্রতিটিা সিঁড়ি খুব সতর্ক ও বিচক্ষণতার সাথে টপকে যেতে হয়। সামান্যতম ভুলের কারণে পা ফসকে নিচে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। হয়তো পরবর্তীতে আবারও সিঁড়ির ধাপগুলো অতিক্রম করা যায়, কিন্তু ততক্ষণে তো পার হয়ে গেছে অনেক সময়। অন্যদিকে জীবনের অন্তিমলগ্নও ততক্ষণে দরোজায় কড়া নাড়তে শুরু করে দেয়। তাই প্রথম থেকেই লক্ষ্যটা হতে হবে অটুট এবং সে অনুযায়ীই জীবনকে পরিচালিত করতে হবে। যদি লক্ষ্যই ঠিক না থাকে তাহলে সবকিছুই এলোমেলো হয়ে যায়। গন্তব্যহীন কচুরিপানা বা কোনো কুটো পানিতে পড়লে তা ঢেউয়ের তালে তালে কেবল ভেসেই যেতে থাকে। কখনো তীব্র বাতাস তাকে লাইনচ্যুত করে বিপরীত দিকে নিয়ে যায়। এক সময় সে হয়তো কোনো ঢেউয়ের ঘূর্ণিতে হারিয়েই যায়। কিন্তু যে কচুরিপানাটির শিকড় থাকে নিচে প্রলম্বিত, সে তো এভাবে নিজেকে ভেসে যেতে দিতে নারাজ। শত প্রতিকূলতার মাঝেও সে চেষ্টা করে নিজেকে স্থির রাখতে। কোনো ঘূর্ণি তাকে সহজেই লাইনচ্যুত করতে পারে না। বরং ডালপালা বিস্তার করে নিজের দখলদারিত্ব আরো পাকাপোক্ত করে নেয়।
এ কারণেই জীবনের লক্ষ্য ঠিক করাই ক্যারিয়ার প্লানিংয়ের প্রথম ধাপ। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, এদেশের অধিকাংশ যুবকের ক্ষেত্রেই সিদ্ধান্তহীনতা পরিলক্ষিত হয়। ফলে তারা পারে না সঠিক পেশাটি বেছে নিতেও। তাই প্রয়োজন ক্যারিয়ার প্লানিং অর্থাৎ প্রথমে পেশা নির্বাচন এবং পরে সে অনুযায়ী নিজেকে গড়ে তোলা।
ক্যারিয়ার প্লানিং
অদূর ভবিষ্যতে করণীয় কার্যসমষ্টির অগ্রিম সুচিন্তিত বিবরণই পরিকল্পনা। এটা আমরা কোথায় আছি এবং ভবিষ্যতে কোথায় যেতে চাই তার মধ্যকার সেতুবন্ধন। ক্যারিয়ার সংক্রান্ত পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়নের পদ্ধতিকেই ক্যারিয়ার প্লানিং বলে। ক্যারিয়ার প্লানিং হচ্ছে জীবনব্যাপী একটা নিরন্তর প্রচেষ্টার নাম যা পেশা নির্ধারণ, চাকরি, চাকরির সাথে সাথে জীবনযাপন, চাকরি থেকে অবসর, দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণ ইত্যাদি বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে। বাস্তবসম্মত, সময়োপযোগী এবং পছন্দসই ক্যারিয়ার নির্বাচনের ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার প্লানিং মূলত সববয়সী মানুষের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। পেশা নির্বাচনের ক্ষেত্রে যারা সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন, ক্যারিয়ার প্লানিং তাদের যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে পারে। তাছাড়া শিক্ষা, অভিজ্ঞতা ও চাকরি খোঁজার ক্ষেত্রেও একজন ক্যারিয়ার সচেতন মানুষের জন্য ক্যারিয়ার প্লানিংয়ের সহযোগিতা অপরিহার্য।
পদ্ধতি
প্রয়োজনীয় শিক্ষা শেষে কোনো পেশায় প্রবেশের পূর্বে একজন ব্যক্তিকে ক্যারিয়ার পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হয়। বাংলাদেশের চাকরির বাজার তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ হওয়ায় এই পরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়টি সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ এবং বিবেচনাপ্রসূত হওয়া প্রয়োজন। চাকরিপ্রার্থীদের জন্য চারস্তর বিশিষ্ট নিম্নলিখিত ক্যারিয়ার প্লানিং পদ্ধতিটি বিবেচনা করা যেতে পারে-
ক) আত্মপ্রকৃতি যাচাই : নিজের প্রকৃতিবিরুদ্ধ কোনো পেশা ব্যক্তির জীবনে সর্বাঙ্গীণ সফলতা আনতে পারে না। এ কারণে ক্যারিয়ার প্লানিং পদ্ধতির এই স্তরে একজন চাকরিপ্রার্থীকে মনে রাখতে হবে যে, প্রত্যাশিত চাকরিটি যেন তার সহজাত পছন্দ বা আগ্রহ এবং আদর্শ, বিশ্বাস ও মূল্যবোধের পরিপন্থী না হয় এবং ব্যক্তিগত বিশ্বাস ও আদর্শকে লালন করার অধিকার ক্ষুণ্ণ না করে। এছাড়া শিক্ষা এবং শারীরিক ও মানসিক দক্ষতাকে সামনে রেখে পেশা পছন্দ করা জরুরি। কারণ শিক্ষাজীবনে অর্জিত বিষয়ই যদি কর্মক্ষেত্রের বিষয় হয় তাহলে সেক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হয়।
খ) পেশা নির্বাচনের উপায় : সীমিত ধারণার ওপর ভিত্তি করে ক্যারিয়ার হিসেবে কোনো পেশাকে ক্যারিয়ার পরিকল্পনায় নেয়া উচিত নয়। কাক্সিক্ষত পেশাটি ক্যারিয়ার পরিকল্পনায় স্থান দেয়ার আগে সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় পঠন-পাঠন এবং পরীক্ষা খুবই জরুরি। পেশা সম্পর্কে ধারণা ও তথ্য সংগ্রহের জন্য যে বিষয়গুলোর সাহায্য নেয়া যেতে পারে তার মধ্যে প্রধান হলো-
*    সংশ্লিষ্ট পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের পরামর্শ।
*    পেশাদার ক্যারিয়ার কাউন্সিলরদের কাউন্সিলিং বা পরামর্শ।
*    পেশার ক্ষেত্রসমূহে (অফিস, আদালত, মিল, ফ্যাক্টরি ইত্যাদি) সরেজমিনে ভ্রমণ।
*    খণ্ডকালীন চাকরি,Internship, Volunteer, সার্ভিসের মাধ্যমে পূর্বেই ধারণা নেয়া।
*    সংশ্লিষ্ট পেশা সম্পর্কে লিখিত বই এবং তথ্যবহুল সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে।
গ) পেশা নির্দিষ্টকরণ : এই ধাপে একজন শিক্ষার্থী-
*    সম্ভাব্য পেশাকে নির্দিষ্ট করবে।
*    এই পেশাকে মূল্যায়ন করবে।
*    ব্যতিক্রম কিছু থাকলে সেগুলোকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবে।
*    পেশা অর্জনের ক্ষেত্রে স্বল্পমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি উভয় অপশনই নির্ধারণ করবে।
ঘ) প্রয়োজনীয় উপকরণ : প্রত্যাশিত চাকরিটি পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞানগত এবং উপকরণগত উন্নতি করার চেষ্টা করতে হবে। যেমন-
*    প্রয়োজনবোধে অতিরিক্ত শিক্ষা বা ট্রেনিংয়ের উৎসগুলো তদন্ত করবে।
*    চাকরি খোঁজার কৌশল নির্ধারণ করবে।
*    জীবনবৃত্তান্ত লিখবে।
*   চাকরির সাক্ষাৎকারের জন্য প্রস্তুতি নেবে।
*    ভালো আবেদনপত্র লেখার অভিজ্ঞতা অর্জন করবে।
*    প্রয়োজনে কোচিংয়ের সাহায্য নেবে।
এ পর্যায়ে ক্যারিয়ারের স্তরবিন্যাস নিয়ে আলোকপাত করা প্রয়োজন। একজন ব্যক্তির ক্যারিয়ার মূলত নিম্নোক্ত পাঁচটি স্তরে পরিবাহিত হয়-
১. স্বপ্নময় স্তর বা সময় : শিক্ষাজীবনের শুরু থেকে কর্মজীবনে প্রবেশের আগ পর্যন্ত সময়ই স্বপ্নময় সময় বা স্তর। অধিকাংশ মানুষ জীবনের প্রথম পঁচিশ বছর অতিক্রম করার সঙ্গে সঙ্গে স্বপ্নময় সময় অতিক্রম করে। এ সময় ক্যারিয়ার সম্পর্কিত নানা প্রত্যাশা বা স্বপ্ন একজন ব্যক্তির মনে জন্ম নেয়, যার অধিকাংশই অবাস্তব এবং অলীক। এইসব ক্যারিয়ার ভাবনা কয়েক বছরের মধ্যেই অপ্রাপ্তিতে রূপ নেয়। পরিণতিতে ব্যক্তি হতাশায় নিমজ্জিত হয়।
২. প্রতিষ্ঠার স্তর : ক্যারিয়ার প্লানিংয়ে একজন ব্যক্তির শিক্ষা শেষে চাকরি সন্ধান এবং প্রথম চাকরি গ্রহণের সময়টা প্রতিষ্ঠার সময় হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে এ স্তরের মেয়াদ ২৫ থেকে ৩৫ পর্যন্ত এই দশ বছরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
৩. মধ্যবর্তী স্তর : ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে একজন ব্যক্তি তার কর্মতৎপরতায় ক্রমাগত উৎকর্ষ সাধন করে অথবা স্থিতি পায় অথবা কর্মতৎপরতায় ভাটা পড়তে শুরু করে। ক্যারিয়ারে এই সময়টার মেয়াদই সবচেয়ে দীর্ঘ। এদেশে ৩৫ থেকে ৫৫ বছর বয়স পর্যন্ত সময়কে আমরা একজন ব্যক্তির ক্যারিয়ারের মধ্যবর্তী স্তর হিসেবে অভিহিত করতে পারি।
৪. স্থিতি স্তর : ক্যারিয়ারের এই সময়টাতে একজন মানুষ তার পেশা সম্পর্কে নতুন কিছুই শেখে না, কিংবা শেখার আগ্রহও থাকে না। এ পর্যায়ে ব্যক্তি তার কার্যসম্পাদন প্রক্রিয়ায় পূর্ববর্তী বছরগুলোর তুলনায় কম দক্ষতার পরিচয় দিতে শুরু করে। সাধারণত ৫৫ থেকে ক্যারিয়ারে স্থিতির স্তর শুরু হয়।
৫. সমাপ্তি : এ পর্বে ব্যক্তি কর্মজীবন শেষে অবসর গ্রহণ করে।
আগামী সংখ্যা থেকে বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক ক্যারিয়ার ভাবনা ও প্লানিংয়ের বিষয়গুলো পর্যায়ক্রমে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হবে ইনশাআল্লাহ।

Comments

Popular posts from this blog

বিষয় ভিত্তিক আয়াত-হাদিসঃ মুমিনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য - দাওয়াত - সংগঠন - প্রশিক্ষণ - ইসলামী শিক্ষা - ইসলামী বিপ্লব

বিষয় ভিত্তিক আয়াত-হাদিসঃ মুমিনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য - দাওয়াত - সংগঠন - প্রশিক্ষণ - ইসলামী শিক্ষা - ইসলামী বিপ্লব মুমিনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কুরআন انى وجهت وجهى للذي فطر السموات والارض حنيفا وما انا من المشركين ـ (انعام ـ 79) উচ্চারণ: : ইন্নী ওয়াজজাহাতু ওয়াজহিইয়া লিল্লাযী ফাতরাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানীফাও ওয়া মা আনা মিনাল মুশরিকীন। (১) আমি তো একমুখী হয়ে নিজের লক্ষ্য সেই মহান সত্তার দিকে কেন্দ্রীভূত করছি যিনি যমীন ও আসমানসমূহকে সৃষ্টি করেছেন এবং আমি কনিকালেও মুশরিকদের মধ্যে শামিল নই। (সূরা আনয়াম: ৭৯) قل ان صلاتى ونسكى ومحياي ومماتى لله رب العلمين ـ (انعام :162) উচ্চারণ: : কুল ইন্না ছালাতী ওয়া নুসুকী ওয়া মাহইয়াইয়া ওযা মামাতী লিল্লাহি রাব্বিল আ’লামীন। (২) বল, আমার নামায, আমার যাবতীয় ইবাদত, আমরা জীবন ও মৃত্যু সবকিছুই সারা জাহানের রব আল্লাহরই জন্য। (সূরা আনয়াম: ১৬২) وما خلقت الجن والانس الا ليعبدون ـ (ذارية ـ 56) উচ্চারণ: : ওয়া মা খলাকতুল জিন্না ওয়াল ইনসা ইল্লা লিইয়া’বুদূন। (৩) আমি জ্বিন ও মানুষকে অন্য কোন উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করিনি, কেবল এজন্য সৃষ্টি করেছি যে তারা আমার বন্

আল-আইয়্যামে ড. ত্বহা হুসায়নের শৈশব জীবন চিত্র

আল-আইয়্যামে ড. ত্বহা হুসায়নের শৈশব জীবন   চিত্র আরবী সাহিত্য জগতে উনিশ শতকের শেষার্ধে মিশরে ডঃ ত্বহা হুসায়নের আবির্ভাব ঘটে ; সে সময় অনুকরণের উষ্ণ হাওয়া বইছিল। নানা প্রকার কুসংস্কারে নিপতিত , বৈদেশিক শাসনের যাতাকলে নিষ্পেষিত , ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য ও বাক স্বাধীনতা , রাজনৈতিক অধিকার , অর্থনৈতিক মূল্যবোধ , মানবিক অধিকার ও সামাজিক মর্যাদা থেকে জাতি বঞ্চিত অবহেলিত , ঠিক তখন এ লাঞ্ছিত , উৎপীড়িত দিশেহারা জাতিকে পথ নির্দেশনার জন্যই ছিল তাঁর সাহিত্যকর্ম । তাঁর ক্ষুরধার লিখনীতে তন্দ্রাচ্ছন্ন জাতির সুপ্তপ্রাণে বিপ্লবের জোয়ার এসেছিল। তিনি ছিলেন একাধারে শিক্ষাবিদ , সংস্কারক , গবেষক , ঐতিহাসিক , বিজ্ঞানধর্মী সমালোচক , প্রভাবশালী বাগ্নী , সর্বোপরি আধুনিক মিশর ও আধুনিক আরবী সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা।১ The New Encyclopaedia Britannica তে বলা হয়েছে “Taha Hussain, was an outstanding Figure of the Modernist movement in Egyptian literature.” 2  ডঃ ত্বহা হুসায়ন রচিত অসংখ্য গ্রন্থাবলীর মধ্যে আল- আইয়্যাম বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। এটি তিন খন্ডে সমাপ্ত। যার মধ্যে তিনি নিজ জীবনীর বিভিন্ন দিক তু

মনে রাখার সহজ কৌশলে Exclusive টেকনিকে আর্ন্তজাতিক বিষয়াবলী সাধারন জ্ঞান। আশা করি মনোযোগ দিয়ে একবার পড়লেই মনে থাকবে।

মনে রাখার সহজ কৌশলে Exclusive টেকনিকে আর্ন্তজাতিক বিষয়াবলী সাধারন জ্ঞান। আশা করি মনোযোগ দিয়ে একবার পড়লেই মনে থাকবে। SAARC এর সদস্যঃ Exclusive টেকনিকঃ NIPA MBBS পড়তে আগ্রহী। NIPA = নেপাল, ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, আফগানিস্থান। MBBS= মালদীপ, বাংলাদেশ, ভুটান, শ্রীলংকা। ECO – ভুক্ত শর্টকাট মনে রাখার নিয়মঃ Exclusive টেকনিকঃ আইতু + ৭ স্তান। =আজারবাইজান, ইরান, তুরস্ক, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, কাজাখস্তান, কিনঘিজিস্তান, তুর্কিমেনিস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান। D-8 ভুক্ত শর্টকাট মনে রাখার নিয়মঃ Exclusive টেকনিকঃ বাপ মা নাই তুমিই সব। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মালয়শিয়া, নাইজেরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, মিসর, ইরান। ASEAN এর সদস্যঃ Exclusive টেকনিকঃ MTV তে FILM দেখলে BCS হবে না। Mayanmar, Thailand, Vietnam, Phillipines, Indonesia, Laos, Malaysia, Brunei, Cambodia, Singapore. Super Seven এর সদস্যঃ Exclusive টেকনিকঃ থামাই+ সিতাদহ থাইল্যান্ড, মালয়শিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিংগাপুর, তাইওয়ান, দঃ কোরিয়া, হংকং। থাইল্যান্ড, মালয়শিয়া, ইন্দোনেশিয়া + FOUR TIGERS. Scandinavian States এর সদস্যঃ Exclusive টেকন