Skip to main content

আল-আইয়্যামে ড. ত্বহা হুসায়নের শৈশব জীবন চিত্র



আল-আইয়্যামে ড. ত্বহা হুসায়নের শৈশব জীবন চিত্র
আরবী সাহিত্য জগতে উনিশ শতকের শেষার্ধে মিশরে ডঃ ত্বহা হুসায়নের আবির্ভাব ঘটে;সে সময় অনুকরণের উষ্ণ হাওয়া বইছিল। নানা প্রকার কুসংস্কারে নিপতিত,বৈদেশিক শাসনের যাতাকলে নিষ্পেষিত,ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য ও বাক স্বাধীনতা,রাজনৈতিক অধিকার,অর্থনৈতিক মূল্যবোধ,মানবিক অধিকার ও সামাজিক মর্যাদা থেকে জাতি বঞ্চিত অবহেলিত,ঠিক তখন এ লাঞ্ছিত,উৎপীড়িত দিশেহারা জাতিকে পথ নির্দেশনার জন্যই ছিল তাঁর সাহিত্যকর্ম তাঁর ক্ষুরধার লিখনীতে তন্দ্রাচ্ছন্ন জাতির সুপ্তপ্রাণে বিপ্লবের জোয়ার এসেছিল। তিনি ছিলেন একাধারে শিক্ষাবিদ, সংস্কারক, গবেষক, ঐতিহাসিক, বিজ্ঞানধর্মী সমালোচক, প্রভাবশালী বাগ্নী, সর্বোপরি আধুনিক মিশর ও আধুনিক আরবী সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা।১
The New Encyclopaedia Britannica তে বলা হয়েছে “Taha Hussain, was an outstanding Figure of the Modernist movement in Egyptian literature.”
ডঃ ত্বহা হুসায়ন রচিত অসংখ্য গ্রন্থাবলীর মধ্যে আল- আইয়্যাম বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। এটি তিন খন্ডে সমাপ্ত। যার মধ্যে তিনি নিজ জীবনীর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন।৩  গ্রন্থটির প্রথম খন্ডে তিনি স্বীয় শৈশবকালের স্মৃতি চারণ করেছেন।৪ নিম্নে আল-আইয়্যামের আলোকে তাঁর শৈশব জীবন তুলে ধরা হলোঃ
الأيام গ্রন্থে অনেকগুলো কেন্দ্রীয় চরিত্র রয়েছে। এর মধ্যে ত্বহা হুসায়ন হলেন প্রধান চরিত্র। তিনি নিজেকে صبى /صاحبنا  বলে উপস্থাপন করেছেন। আবার কখনও তিনি নিজেকে তৃতীয় পুরুষের ভুমিকায় অবতীর্ন করেছেন। কোথাও ত্বহা হুসায়ন বা আমি বলে নিজের পরিচয় দেননি।৫
জন্ম
ডঃ ত্বহা হুসায়নের ১৪ই নভেম্বর ১৮৮৯ সালে জন্ম হয়।৬ ঐতিহাসিক حنا الفاخورىবলেন- ডঃ ত্বহা হুসায়ন মিশরের মালভূমি অঞ্চলের একটি ছোট গ্রাম জ্ঞজ্ঞমাগাগায়ঞ্চঞ্চ জন্ম গ্রহণ করেন।৭
The New Encyclopaedia Britannica তে বলা হয়েছে-  ”Taha Hussain (b. Nov. 14, 1889, Maghaghah, Egypt.)Encyclopaedia Britannica তে বলা হয়েছে- “He was born at Maghaghah on Nov. 14, 1889 into a large family.”তাঁর পিতা ছিলেন শর্করা কোম্পানীর কর্মচারী। তের ভাই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সপ্তম এবং সহোদর এগারো জন ভাই বোনের মধ্যে পঞ্চম।১০
চক্ষুরোগে আক্রান্ত
মাত্র দুই/তিন বছর বয়সে অফথালমিয়ার নির্দয় ছোবল তাঁর দৃষ্টি শক্তি হরণ করে নেয়।১১ ফলে মাতাপিতা ও ভাইবোনদের আদর যত্নে লালিত পালিত হলেও সুখের আলোক রশ্মি তিনি দেখতে পাননি। The New Encyclopaedia Britannica তে বলা হয়েছে- “At the age of two, he lost his eye sight.”12 কিন্তু হান্না আল ফাখূরী বলেন- তিন বছর বয়সে তিনি দৃষ্টি শক্তি হারান।১৩


ত্বহা তাঁর আত্মচরিতে এ দিকটার প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন এভাবে ঃ
 يذكر ان وجهه تلقى فى ذلك الوقت هواء فيه شئ من البرد الخفيف الذى لم تذهب به حرارة الشمس ويرجح ذلك لأنه على جهله حقيقة النور والظلمة، يكاد يذكر انه تلقى حين خرج من البيت نورا هادئا خفيفا لطيفا كأن الظلمة تغشى بعض حواشيه.”14
পিতা-মাতা ও ভাই-বোনদের দয়া-মায়ায় লালিত পালিত
বাল্যকালে তাঁর দৃষ্টিশক্তি হারানোর কারণে পিতামাতা এবং ভাইবোনেরা তাঁকে করুণার দৃষ্টিতে দেখত এবং তাঁর প্রতি তাদের স্নেহ মায়ার ছায়া সর্বদাই বিরাজমান ছিল। তাদের এই আচরণ তাঁকে কখনও আনন্দিত করত আবার কখনও একাকি গুমরে কাঁদাত।১৫
বেড়া ও খালের পাড়ে অবস্থান
ডঃ ত্বহা হুসায়ন শৈশবকালে প্রায় প্রতিদিন তাঁর বাড়ীর অদূরে অবস্থিত খালের পাড়ে যেতেন এবং তাঁর ডান ও বামদিকে অনেকদূর পর্যন্ত অগ্রসর হতেন। আর এ খালের তীরেই ছিল এক প্রশস্ত শষ্যক্ষেত্র,যা বেড়া দিয়ে আগলিয়ে রাখা হয়েছিল। তিনি এ বেড়ার নিকট দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তাঁর দিবসের অধিকাংশ সময় অতিবাহিত করতেন। এই বেড়াটি ছিল বাঁশের তৈরী এবং মাঝে ফাঁক থাকার কারণে খরগোস ছানা সহজেই তার ভিতর দিয়ে অপর দিকে যেতে পারত। লেখকের ভাষায়-
 يذكر انه كان يحسد الأرانب التى كانت تخرج من الدار كما يخرج منها وتتخطى السياج وثبا من فوقه او انسيابا بين قصبه الى حيث تقرض ما كان وراءه من نبت أخضر.”16
কবিতা ও গানের প্রতি ঝোঁক
তৎকালে মিশরের প্রতিটি গ্রাম ছিল লোক সাংস্কৃতির চর্চাকেন্দ্র। বিশেষ করে ত্বহা যে গ্রামে বাস করেন সে গ্রামটি ছিল অন্যতম। প্রতিদিন সন্ধার পর গ্রামের লোকেরা একস্থানে একত্র হয়ে গান গাইত এবং কিচ্ছা কাহিনী বলত। এশার নামাজের পূর্ব পর্যন্ত তাদের এ আনন্দের আসর অব্যাহত থাকত। আবার কোন কোন সময় উহা এশার পরও চলত।
লেখক বাল্যকাল হতেই গানের প্রতি আসক্ত ছিলেন। তাই তিনিও এই গানের আসরে প্রতিদিন শরীক হতেন। অপরদিকে তিনি কবিতার প্রতিও আকৃষ্ট ছিলেন। তাঁর আবাস গৃহের অনতিদূরে এক কবি সুমিষ্ট সুরে কবিতা আবৃত্তি করতেনত্বহা হুসায়ন এগুলো না শুনে রাতে ঘুমাতে যেতেন না। الأيامএর ভাষায়-
 ثم يذكر انه لا يخرج ليلة إلى موقفه من السياج الا وفى نفسه حسرة لاذعة لأنه كان يقدر ان سيقطع عليه استماعه لنشيد الشاعر حين تدعوه اخته الى الدخول فيأبى.”17
ভূত-প্রেতের ভয়
ত্বহার ধারণা ছিল যে,এ খালে অনেক ভুত-প্রেত বাস করত,যারা সূর্য অস্তমিত হলে রাতের আঁধারে খাল হতে উঠে এসে চারদিকে বিচরণ করত। আর কিছু ভুত ছিল যারা তাঁর বাড়ীর চারদিকে বসবাস করত। ত্বহার ধারণা ছিল এরা রাত্রি বেলায় তাঁকে ভয় দেখাবে এবং চিম্‌টি কাটবে। অনেক সময় এরা তাঁর ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে তাঁকে বাইরে যেতে বাধা দিত।
الأيامএর ভাষায়-
  فلا بد من ان يعبث به عفريت من العفاريت الكثيرة …….من تحت الأرض وملأت الفضاء حركة واضطرابا وتهامسا وصياحا.”18
নানা অবাস্তব বিষয়ে কল্পনা
ত্বহা হুসায়ন বাল্যকালে নানা অবাস্তব বিষয়ের কল্পনা করতেন। যেমন- রাতের বেলা ঘুমন্ত অবস্থায় মুখ হতে যদি লেপ সরে যায় তবে ভুত-দানব তাকে চিমটি কাটবে এবং সুড়সুড়ি দিবে। তাঁর ধারণা ছিল যে, খালটির পাশে যে বেড়াটি ছিল তা দুনিয়ার এক প্রান্ত হতে অপর প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত। তিনি রাত্রি বেলায় কিছু মোরগ-মুরগীর চিৎকার শুনতে পেতেন। তাঁর ধারণা ছিল এসব চিৎকার ও ডাকের মধ্যে কিছু প্রকৃত মোরগ- মুরগীর ডাক এবং কিছু ছিল ভুত-প্রেতের আওয়াজ। তাঁর ধারণা ছিল যে,এই খালে এমন কিছু দানব বাস করে যারা কোন শিশুকে ঐ খালে পেলেই আস্ত গিলে ফেলবে। যেমন الأيامএ উল্লেখ রয়েছেঃ
 تعمره كائنات غريبة مختلفة لا تكاد تحصى: منها التماسيح التى تزدرد الناس ازدرادا.”19
প্রত্যুষে ঘুম হতে জাগরণ
ভোর বেলায় কলসপূর্ণ করে গৃহে প্রত্যাবর্তনকারিণী রমনীগনের গানের শব্দ (الله يا ليل الله) ভেসে আসত। তখন ত্বহা মনে করতেন প্রাতঃকালের আগমন ঘটেছে এবং কবির আবৃত্তি হতে গান ধরতেন। অনন্তর তাঁর চারপাশের ঘুমন্ত ভাই-বোনকে চিম্‌টি কেটে একের পর এক ঘুম হতে জাগিয়ে তুলতেন। الأيامএ বলা হয়েছে-
” ويتغنى بما حفظ من نشيد الشاعر ويغمز من حوله من إخوته وأخواته حتى يوقظهم واحدا واحدا.”20
অলৌকিক আংটি পাবার আশা
ডঃ ত্বহা হুসায়নের ধারনা ছিল যে,ঐ খালের মধ্যে এমন কিছু মাছ বাস করত যারা কোন বালককে নাগালে পেলে গিলে ফেলবে এবং তাঁকে বাদশাহের আংটি২১ পাবার সুযোগ করে দিবে। আর এ আংটিটি হাতের মধ্যে ঘুরালেই আংটিওয়ালার নিকট দুঞ্চটি জিন চলে আসবে এবং তার ইচ্ছা অনুযায়ী যে কোন কাজ সম্পাদন করবে। ত্বহা হুসায়নের নিকট এই আংটিটির গুরুত্ব ছিল অনেক বেশী। কারণ তিনি যদি তা পেতে সক্ষম হন,তাহলে দুই সেবকের একজনের দ্বারা নালার অপর পাড়ে যেতে পারবেন। ত্বহা হুসায়নের ভাষায়-
 ألم يكن يطمع على اقل تقدير فى ان يحمله أحد هذين الخادمين الى وراء هذه القناة.22
আবুল আলা আল-মায়াররীর পদ্ধতি অবলম্বন
বাল্যকালে ত্বহা হুসায়ন খুব কৌতুহলী ছিলেন। তিনি প্রায়ই দুই হাত দিয়ে খাদ্য গ্রহণ করতে ইচ্ছূক ছিলেন। আর তা দেখে তাঁর চাচা তাঁকে ধমক দিতেন,ফলে তাঁর মা চাপা কান্নায় ভেঙ্গে পড়তেন। এগুলো তাঁকে খুবই কষ্ট দিত। এ থেকে তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করলেন যে,তিনি আর কখনও সবার সাথে একত্রে বসে খাদ্য গ্রহণ করবেন না বরং লোক চক্ষুর অন্তরালে একাকি খাদ্যগ্রহণ করবেন। যেমনটি করতেন অন্ধকবি আবুল জ্ঞআলা আল- মাজ্ঞআররী২৩,যা তিনি তাঁর জীবনী হতে জানতে পারেন। الأيامএর i¡o¡u-”فهم صاحبنا هذه الأطوار من حياة ابى العلاء حق الفهم.”24  অন্ধ কবি আবুল জ্ঞআলা আল-মাজ্ঞআররী একদিন মধু খেয়েছিলেন।
তাঁর অজান্তে কিছু মধু তাঁর বুকের উপর পড়েছিল। যখন তিনি পাঠদান করতে গিয়েছিলেন তখন তাঁর ছাত্ররা তাঁকে মধু খেয়েছেন কিনা জিজ্ঞাসা করলে তিনি দ্রুত তাঁর বুকের উপর হাত দেন এবং বলেন হাঁ। অতঃপর নিজের উপর আজীবনের জন্য মধু খাওয়া হারাম করে দেন। কবি আল-মাজ্ঞআররী মানুষের অলক্ষ্যে আড়ালে খানা খেতেন মাটির নিচে গর্তের মধ্যে তাঁর খাদেম খানা রেখে হটে গেলে তিনি একা গিয়ে তাজ্ঞ খেতেন। একদা আলেপ্প থেকে সংগ্রহ করা তরমুজ তাঁর খাদেম গর্তের মধ্যে নির্ধারিত স্থানে না রাখায় তা নষ্ট হয়ে যায়। অথচ তিনি তার স্বাদও গ্রহণ করতে পারেন নি।২৫
খেলাধুলার প্রতি ঝোঁক
অন্ধ হবার কারণে ত্বহা হুসায়ন আরো দশজন ছেলেমেয়েদের মত খেলাধুলা করেননি বটে,তবে তাঁর যে খেলাধুলার প্রতি কোন ঝোঁক ছিল না তা বলা যায় না। তিনি একাকি পাথর কুচি দিয়ে খেলা করতেন। এতে তাঁর বিরক্তি আসলে ভাই কিংবা বন্ধু-বান্ধবদের খেলার পাশে এসে দাঁড়াতেন। তিনি তখন তাদের সাখে খেলায় সরাসরি অংশ নিতেন না বরং তাঁর বুদ্ধিমত্তা দিয়ে অংশ নিতেন। الأيامএর ভাষায়ঃ
  حتى إذا سئمه وقف على اخوته أواترابه وهم يلعبون  فشاركهم فى اللعب بعقله لا بيده.”26
দোয়া ও অযীফা মুখস্ত করণ
ত্বহা হুসায়ন বাল্যকালে যে ঘরে ঘুমাতেন তাঁর পাশের ঘরেই তাঁর দাদা ঘুমাতেন। দাদা দীর্ঘ রাত্রি পর্যন্ত নানা অযীফা এবং দোয়া পাঠ করতেন। তিনি আবার খুব সকালে ঘুম হতে জেগে দোয়া ও অযীফা পাঠ করতেন। ফলে ত্বহা হুসায়ন বাল্য কালেই অনেক দোজ্ঞআ-অযীফা মুখস্ত করে ফেলেন। الأيامএর বর্ণনানুযায়ী-
 فكان يسمعه وهو يتلو حتى حفظ من هذه الاوراد والادعية شيئا كثيرا.27
মক্তবে গমন
তৎকালে মিশরীয় মুসলিম পরিবারের রেওয়াজ অনুযায়ী সন্তানদের মক্তবে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করতে হত। কেননা মক্তবে সে সময় প্রাথমিক শিক্ষা দেয়া হত। নিয়মানুযায়ী ত্বহা হুসায়ন মক্তবে ভর্তি হন। তিনি যে মক্তবে ভর্তি হন তা ছিল তাঁর বাড়ী হতে বেশ দূরে। তাই তিনি তাঁর কোন এক ভাইয়ের কাঁধে ভর করে মক্তবে যাতায়াত করতেন। গ্রন্থটির বর্ণনায়-
 كان يذهب فيها الى الكتاب محمولا على كتف أحد اخوته لأن الكتاب كان بعيدا.”28
ক্রীড়ারত অবস্থায় পাঠদান
ত্বহা হুসায়ন খুব ছোটবেলায় মক্তবে যান। তখনও শিক্ষার প্রতি তাঁর তেমন মনোযোগ ছিল না। তাই তিনি মক্তবের প্রবেশ পথে রাখা ছাত্রদের জুতা নিয়ে খেলাধূলা করতেন। এতে শিক্ষক তার প্রতি রাগান্বিত হননি,বরং ক্রীড়ারত অবস্থায়ও প্রধান শিক্ষক (سيد) তাঁকে সূরা আর-রহমান শিক্ষা দিতেন। الأيام  এ বর্ণিত হয়েছে-
  يرى صاحبنا نفسه كما قدمنا جالسا على الأرض يعبث بالنعال من حوله وسيدنا يقرئه سورة الرحمن.”29
শায়খ উপাধীতে ভূষিত
ত্বহা হুসায়ন বাল্যকাল হতেই খুব মেধাবী ছিলেন। তাই মাত্র নয় বছর বয়সে তিনি পুরো কুরআন শরীফ মুখস্ত করে ফেলেন। আর তৎকালে নিয়ম ছিল যে কোরআন শরীফ মুখস্ত করলে ছাত্রটিকে শায়খ উপাধিতে ভূষিত করা হত,বয়সের কোন ভেদাভেদ ছিল না। যেমন বলা হয়েছে-
 منذ هذا اليوم أصبح صبينا شيخا وان لم يتجاوز التاسعة: لأنه حفظ القرأن، ومن حفظ القرأن فهو شيخ مهما تكن سنه.”30
পড়ালেখার প্রতি উদাসীনতা
কথায় আছেঃ ধারালো অস্ত্র ব্যবহার না করলে ভোঁতা হয়ে যায়। কথাটি সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছিল ত্বহা হুসায়নের ক্ষেত্রে। তিনি পুরো কুরআন শরীফ মুখস্ত করার পর আর তা চর্চা করেননি। এভাবেই তিনি প্রতিদিন মক্তবে যান আর ফিরে আসেন। ফলে কুরআনের আয়াত এবং সূরাগুলো তাঁর অন্তর থেকে মুছে যায়। যেমন বর্ণিত হয়েছে-     31ومضى على هذا شهر و شهر وشهر يذهب صاحبنا الى الكتاب ويعود منه بغير عمل.”
পিতার পরীক্ষায় অকৃতকার্র্য
এমনি ভাবে দিনের পর দিন অতিবাহিত হচ্ছিল। একদিন তাঁর পিতা বন্ধুদের নিয়ে অভ্যর্থনা রুমে বসে ছিলেন। এমন সময় তিনি ঘরে প্রবেশ করেন। পিতা বালক ত্বহা হুসায়নকে ডেকে পড়ার খবর নেন এবং তাঁকে একটার পর একটা সূরা জিজ্ঞাসা করেন। কিন্তু প্রতিটি সূরার ক্ষেত্রে তিনি أعوذ بالله  বা بسم الله  ছাড়া কিছুই বলতে পারেননি। এক পর্যায়ে পিতা রাগান্বিত হয়ে তাঁকে চলে যেতে বলেন। الأيام  এর ভাষায়-
 قم فقد كنت أحسب أنك حفظت القرأن- فقام خجلا يتصبب عرقا.”32
পুনরায় কুরআন মুখস্তকরণ
ত্বহা হুসায়ন তাঁর পিতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারার মূল কারণ হল শিক্ষক (سيد)এই লোভী ব্যক্তিটি কাউকে شيخউপাধি দিতে পারলেই ছাত্রের অভিভাবকের নিকট হতে নানা ধরনের উপঢৌকন পেতেন। অথচ সে কুরআন ভাল করে মুখস্ত করল কি না তা খতিয়ে দেখতেন না। আর লোভের কারণেই তিনি ত্বহাকে شيخ উপাধি দেন। অতঃপর তিনি পিতার পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে তাঁকে তড়িঘড়ি করে পুনরায় কুরআন মুখস্ত করান। তাঁর পিতার কাছে মিথ্যা কসম করে যে কথা বলেছিলেন তা ত্বহা হুসায়ন তাঁর আত্মজীবনী মূলক গ্রন্থ الأيامএ এভাবে তুলে ধরেছেন-
  اقسم بالله ثلاثا ما نسيه ولا اقرأته إنما استمعت له القرآن فتلاه على كالماء الجاري ولم يقف       ولم يتردد.”33
আরিফের উপর ত্বহার দায়িত্ব অর্পণ
এর পর হতে ত্বহা হুসায়নকে পড়ানোর দায়িত্ব সহকারী শিক্ষক আরিফের উপর ন্যাস্ত হয়। الأيام এর ভাষায়-   34من ذلك اليوم انقطعت صلة الصبى التعليمية بسيدنا واتصلت بالعريف.”
আরিফ ছিলেন নৈতিকতাহীন এবং অযোগ্য ব্যক্তি। শিক্ষকতার কোন যোগ্যতা তার মধ্যে ছিল না। সে ছাত্রদের কি শিক্ষা দিবে,সে তো নিজেই কিছু জানে না। শুধুমাত্র অভাবের তাড়নায় শিক্ষক হয়েছে। সে ছিল নিতান্তই লোভী ও অত্যাচারী। সে ছাত্রদের নিকট হতে অর্থ গ্রহণ করত এই বলে যে যদি তাকে অর্থ না দেয়া হয় তবে মারধর করবে এবং সাইয়্যেদ এর নিকট অভিযোগ করবে। তাই ছোট বড় সকল ছাত্রের নিকট হতে উৎকোচ নিত এবং বেশীর ভাগ নিজের কাছে রেখে বাকীটা প্রধান শিক্ষককে দিত।
কুরআন হিফযের প্রতি গাফিলতি
ত্বহা হুসায়ন মক্তবে দিনের পর দিন অন্যান্য ছাত্রদের উপর খবরদারী চালিয়ে যান অথচ নিজের দায়িত্ব মোটেও পালন করেন না। এসময় তিনি কিছুটা মিথ্যারও আশ্রয় নেন। তিনি অধিকাংশ সময় ছাত্রদের সাথে গল্প করে কাটাতেন।
পিতার পরীক্ষায় অকৃতকার্র্য
এভাবে দিন অতিবাহিত হচ্ছিল,একদিন ত্বহা হুসায়ন জুতো জোড়া হারিয়ে বাড়ী ফিরলে পিতা তাঁকে পুনরায় হিফ্‌য পরীক্ষা করেন এবং এ পরীক্ষায় তিনি ব্যর্থ হন। ফলে পিতা অধিক মনোকষ্ট পান।
 মক্তবের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন
পিতা দেখলেন যে,বালক ত্বহাকে মক্তবে পাঠালে কোন উন্নতীই লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তাই তিনি তার নাম মক্তব থেকে কাটিয়ে নেন এবং অন্য শিক্ষক দিয়ে বাড়ীতেই হিফ্‌য করার ব্যবস্থা করেন। الأيام   বলা হয়েছে-
  وانقطع الصبى عن الكتاب وانقطع سيدنا عن البيت والتمس الشيخ فقيها أخر يختلف الى البيت فى كل يوم- فيتلو فيه سورة من القرآن.”35
 পুনরায় মক্তবে গিয়ে কুরআন হিফয
পরবর্তীতে তাঁর পিতা তাঁকে পুনরায় মক্তবে প্রেরণ করেন। ফলে অনিচ্ছা সত্বেও তাঁকে মক্তবে ফিরে যেতে হয়। তাঁর বয়স যখন ৯ বছর তখন তিনি পূর্ণ কুরআন হিফ্‌য করে ফেলেন। যেমন الأيام  এর ভাষায় এসেছেঃ
وليس غريبا أن ينسى صاحبنا كيف حفظ القرأن- فقد أتم حفظه ولما يتم التاسعة من عمره.”36
 কাজীর কাছে শিক্ষা লাভ
ডঃ ত্বহা হুসায়নের এক ভাই আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করত । তাঁরও খুব সখ ছিল সেখানে গিয়ে ভর্তি হবেন। সেই ভাই ছুটিতে বাড়ী আসলে তাঁর সাথে তিনিও আল-আযহারে যাবেন বলে প্রতিক্ষায় ছিলেন কিন্তু আযহারী ভাই বাড়ী এসে সেবার তাঁকে সাথে না নিয়ে বরং বিচারালয়ের কাজীর নিকট আলফিয়া নামক ব্যকরণ গ্রন্থ মুখস্ত করার নির্দেশ দিয়ে যান। ফলে তিনি সেই কাজীর নিকট প্রতিদিন ইব্‌ন মালিক রচিত আরবী ব্যাকরণ গ্রন্থ আলফিয়া মুখস্ত করেন। সে সম্পর্কে الأيام  এ উল্লেখ রয়েছেঃ
  وأوصى الأزهرى قبل سفره بأن يبدأ بحفظه الألفية حتى اذا فرغ منها وأتقنها اتقانا حفظ من الكتاب اللآخر أشياء غريبة.” ৩৭
শিশু ত্বহার পরবর্তী জীবনে কৃতিত্ব
অসাধারণ মেধাশক্তির অধিকারী ডঃ ত্বহা হুসায়ন মাত্র তের বৎসর বয়সে একটি বৃত্তি লাভ করেন এবং ১৯০২ সালে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।৩৮ স্বাধীন চিন্তার অধিকারী ডঃ ত্বহা হুসায়ন রক্ষণশীল পরিবেশ ও অনুন্নত শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারেননি। ফলে সেখানকার শিক্ষকদের সাথে তাঁর মনোমালিন্য ঘটে। এক পর্যায়ে তাঁকে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়  থেকে বহিষ্কার করা হয়।৩৯
জামেউল আযহার থেকে বহিষ্কার হবার পর তিনি ১৯০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এখানে ইউরোপীয় শিক্ষকদের প্রভাবে আধুনিক ভাবধারায় উদ্ধুদ্ধ হন। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯১৪ সালে পি.এইচ.ডি ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি ছিলেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বপ্রথম গ্র্যজুয়েট ও ডক্টরেট ডিগ্রীধারী। তাঁর গবেষণার বিষয়বস্তু ছিল-تجديد الذكرى ابى العلاء৪০
এ সম্পর্কে Encyclopaedia Britannica তে বলা হয়েছে- “It was the first all-round study in Arabic of a poet’s background, life and works.”41
কায়রো বিশ্ববিদ্যালয় হতে ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করে ত্বহা হুসায়ন সরকারী বৃত্তি নিয়ে প্যারিস গমন করেন। তিনি ১৯১৭ সালে ফরাসী ভাষায় فلسفة ابن خلدون الاجتماعية”  শীর্ষক অপর একটি গবেষণা অভিসন্দর্ভ রচনা করেন। এ জন্য সোরবন বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ১৯১৭ সালে ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করেন।৪২ ১৯১৯ সালে তাঁর এ থিসিসটি আরবী ও উর্দুতে অনুদিত হয়।
প্যারিসে থাকাকালে তাঁর সহপাঠিনী সুজন ব্রসো ডঃ ত্বহাকে বই পড়ে শুনাতেন আর তিনি মুখস্ত করে নিতেন। তাঁর অসাধারণ প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে সুজন ব্রসো ১৯১৭ সালে তাঁর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পরবর্তীকালে এ রমণীই ছিলেন তাঁর চক্ষু স্বরুপ।৪৩
১৯২৫ সালে ফ্রান্স হতে প্রত্যাবর্তন করে ডঃ ত্বহা হুসায়ন কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী সাহিত্যের অধ্যাপক নিযুক্ত হন।৪৪ তিনি অধ্যাপনাকালে ছাত্রদের মুক্ত ধ্যান-ধারণা পোষণ ও অন্ধ অনুকরণ থেকে বিরত থাকতে বিশেষ জোর দিতেন। ১৯৩০ সালে তিনি কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ে রেক্টর পদে নির্বাচিত হন।৪৫ কিন্তু স্বাধীন চিন্তাধারা ও অপ্রিয় সত্য কথা বলার দায়ে প্রধানমন্ত্রী ইসমাজ্ঞঈল সিদ্দিকীর বিরাগভাজন হলে রেক্টর পদ হারান।
রেক্টর পদে থাকাকালে ডঃ ত্বহা হুসায়ন সরকারের শিক্ষা সংকোচন নীতির ব্যাপক সমালোচনা ও সরকারের মতামতের বিরোধিতা করার জন্য গ্রেফতার হন।৪৬ কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে তাঁকে তিনটি বৎসর কাটাতে হয়। তবে কারাগারের শৃংখল তাঁর ধ্যান ধারণা থেকে দূরে রাখতে পারেনি। কারাগারে নানাবিধ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন ভোগ করা সত্বেও তিনি মূল্যবান ৭ খানা পুস্তক রচনা করেন।
১৯৪০ সালে তিনি কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্ঞজ্ঞডিরেক্টর জেনারেল অফ কালচারঞ্চঞ্চ নিযুক্ত হন। ১৯৪৩ সালে তিনি আলেকজান্দ্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন এবং তার প্রশাসক নিযুক্ত হন।৪৭ ১৯৫০ সালে তিনি শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে অধিষ্ঠিত হন।৪৮
মিশরীয় কথা শিল্পী নাজীব মাহফূজ যখন নোবেল সাহিত্য পুরস্কার লাভের গৌরব অর্জন করেন তখন এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেনঃ জ্ঞজ্ঞনোবেল সাহিত্য পুরস্কার আমাকে প্রদান না করে বরং ত্বহা হুসায়ন,তাওফীক আল-হাকীম কিংবা আব্বাস মাহমূদ আল-আক্কাদকে দিলেই অধিক যুক্তি সংগত হত।ঞ্চঞ্চ৪৯ এ মন্তব্যটিতে বিনয়ের অবকাশ থাকলেও নাজীব মাহফূজ সত্যিকারের মূল্যায়নে কুন্ঠাবোধ করেননি। বস্তুত: বিগত অর্ধ শতাব্দীর আধুনিক আরবী সাহিত্যের প্রায় সবগুলো শাখা তাঁর অনবদ্য রচনায় সম্মৃদ্ধ। যেমন নাজীব উল্লাহ বলেন- “Taha Huseyn, the master of modern prose, who is also a literary historian and critic, wrote ‘The Days’, in whice he portrays the life of a yuoth in an Egyptian city.”50
ডঃ ত্বহা হুসায়ন অন্ধ ছিলেন কিন্তু অন্তর্দৃষ্টির আলোকে যে জগৎ তিনি অবলোকন করেছেন সেই জগত স্বাধীন ও মুক্ত চিন্তার জগত। এই জগতেরই হাসি আনন্দ ফুটে উঠেছে তাঁর রচনাবলীতে। তাঁর অবদান আধুনিক আরবী মননশীল রচনায় এক নবদিগন্তের সূচনা করে।৫১তাঁর প্রত্যেকটি রচনা স্বচ্ছ বুদ্ধিদীপ্ত,সুশোভিত ও মনোমুগ্ধকর। আর ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি ছিলেন তাঁর রচনাবলীর মতই প্রাণবন্ত। যেমন হান্না আল-ফাখূরী বলেন-
كان عجيبا فى كل شئ : ذكاء متوقد، وجبروت وعناد، وأسلوب بكر نقى، وحديث ممتع ساحر، ونهج جديد فى النقد، وعاطفة فى مصر.52
         ৮৪ বছর বয়সে আরবী সাহিত্যের এই বিস্ময়কর প্রতিভা ১৯৭৩ সালে ২৮শে অক্টোবর ইন্তেকাল করেন।৫৩
হান্নান মরুফ
০১৭৩৮৬৩১২৩৬
hannanmaruf@gmail.com

Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

বিষয় ভিত্তিক আয়াত-হাদিসঃ মুমিনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য - দাওয়াত - সংগঠন - প্রশিক্ষণ - ইসলামী শিক্ষা - ইসলামী বিপ্লব

বিষয় ভিত্তিক আয়াত-হাদিসঃ মুমিনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য - দাওয়াত - সংগঠন - প্রশিক্ষণ - ইসলামী শিক্ষা - ইসলামী বিপ্লব মুমিনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কুরআন انى وجهت وجهى للذي فطر السموات والارض حنيفا وما انا من المشركين ـ (انعام ـ 79) উচ্চারণ: : ইন্নী ওয়াজজাহাতু ওয়াজহিইয়া লিল্লাযী ফাতরাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানীফাও ওয়া মা আনা মিনাল মুশরিকীন। (১) আমি তো একমুখী হয়ে নিজের লক্ষ্য সেই মহান সত্তার দিকে কেন্দ্রীভূত করছি যিনি যমীন ও আসমানসমূহকে সৃষ্টি করেছেন এবং আমি কনিকালেও মুশরিকদের মধ্যে শামিল নই। (সূরা আনয়াম: ৭৯) قل ان صلاتى ونسكى ومحياي ومماتى لله رب العلمين ـ (انعام :162) উচ্চারণ: : কুল ইন্না ছালাতী ওয়া নুসুকী ওয়া মাহইয়াইয়া ওযা মামাতী লিল্লাহি রাব্বিল আ’লামীন। (২) বল, আমার নামায, আমার যাবতীয় ইবাদত, আমরা জীবন ও মৃত্যু সবকিছুই সারা জাহানের রব আল্লাহরই জন্য। (সূরা আনয়াম: ১৬২) وما خلقت الجن والانس الا ليعبدون ـ (ذارية ـ 56) উচ্চারণ: : ওয়া মা খলাকতুল জিন্না ওয়াল ইনসা ইল্লা লিইয়া’বুদূন। (৩) আমি জ্বিন ও মানুষকে অন্য কোন উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করিনি, কেবল এজন্য সৃষ্টি করেছি যে তারা আমার বন্

মনে রাখার সহজ কৌশলে Exclusive টেকনিকে আর্ন্তজাতিক বিষয়াবলী সাধারন জ্ঞান। আশা করি মনোযোগ দিয়ে একবার পড়লেই মনে থাকবে।

মনে রাখার সহজ কৌশলে Exclusive টেকনিকে আর্ন্তজাতিক বিষয়াবলী সাধারন জ্ঞান। আশা করি মনোযোগ দিয়ে একবার পড়লেই মনে থাকবে। SAARC এর সদস্যঃ Exclusive টেকনিকঃ NIPA MBBS পড়তে আগ্রহী। NIPA = নেপাল, ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, আফগানিস্থান। MBBS= মালদীপ, বাংলাদেশ, ভুটান, শ্রীলংকা। ECO – ভুক্ত শর্টকাট মনে রাখার নিয়মঃ Exclusive টেকনিকঃ আইতু + ৭ স্তান। =আজারবাইজান, ইরান, তুরস্ক, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, কাজাখস্তান, কিনঘিজিস্তান, তুর্কিমেনিস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান। D-8 ভুক্ত শর্টকাট মনে রাখার নিয়মঃ Exclusive টেকনিকঃ বাপ মা নাই তুমিই সব। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মালয়শিয়া, নাইজেরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, মিসর, ইরান। ASEAN এর সদস্যঃ Exclusive টেকনিকঃ MTV তে FILM দেখলে BCS হবে না। Mayanmar, Thailand, Vietnam, Phillipines, Indonesia, Laos, Malaysia, Brunei, Cambodia, Singapore. Super Seven এর সদস্যঃ Exclusive টেকনিকঃ থামাই+ সিতাদহ থাইল্যান্ড, মালয়শিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিংগাপুর, তাইওয়ান, দঃ কোরিয়া, হংকং। থাইল্যান্ড, মালয়শিয়া, ইন্দোনেশিয়া + FOUR TIGERS. Scandinavian States এর সদস্যঃ Exclusive টেকন